Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৪ PM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


চা বিরতীর পর ১৬ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ টি উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে অল আউট হলো তারা। প্রথম ইনিংস থেকে তারা ১৩৯ রানের লিড পাওয়ায় সিলেট টেস্ট জয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাড়ালো ৩২১ রান। তবে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২১৪ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। যেটা ২০০৯ সালে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এসেছিল। তাই জিম্বাবুয়েকে হারাতে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংস ২৮২

বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস ১৪৩

জিম্বাবুয়ে: ২য় ইনিংস ১৮১

বাংলাদেশের লক্ষ: ৩২১

চা বিরতীর পর দ্রুতই জিম্বাবুয়ে  ইনিংস শেষ হলো। ১৬ রানের ব্যবধানে তারা ৪টি উইকেট হারায়।জিম্বাবুয়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন মাসাকাদজা। এছাড়া টেইলর ২৪, উইলিয়াম ২০ , রাজা ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার উইকেট সংখ্যা ১১টি। এছাড়া মিরাজ ৩ টি  অপু ২টি উইকেট নিয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের লিড ৩০০ অতিক্রম করল: ১৩০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পেড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেখান থেকে চাপ মুক্ত করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাসাকাদজা ও চাকাভা জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যান সপ্তম উইকেটে ৩৫ রানের পার্টনারশীপ গড়ার পর উইকেট নিলেন মিরাজ। ব্যাক্তিগত ১৭ রানে মাসাকাদজাকে প্যাভিলনের রাস্তা দেখালেন তিনি।

তাইজুলের চার নম্বর উইকেট: লাঞ্চের পর দ্রুত চারটি উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। ১২১ রান তাইজুল জোড়া উইকেট তুলে নেওয়ার পর এবার আবারো জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত আনলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের ভরসার প্রতীক রাজাকে ২৫ রানে বিদায় করলেন তিনি। এটি দ্বিতীয় ইনিংসে তার চার নম্বর উইকেট।

তাইজুলের জোড়া উইকেট: দলীয় ১২১ রানে জোড়া উইকেট তুলে নিলেন তাইজুল ইসলাম। প্রথমে শেন উইলয়ামকে বোল্ড আউট করার পরে তার জায়গায় ব্যাটিংয়ে আসা পিচার মুরকে স্লিপে ক্যাচ আউটে ফাঁদে ফেললেন তিনি। মুর ০ রান আউট হলে উইলিয়ামের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।

মাসাকাদজাকে বিতারিত করলেন মিরাজ: লাঞ্চের পর পঞ্চম ওভারেই বিদায় নিলেন মাসাকাদজা। দলীয় ১০১ রানে ৭ বাউন্ডারি থেকে ১০৪ বল থেকে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।এতে মাসাকাদজা ও উইলিয়ামের  ৫৪ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটলো। এর আগে প্রথম ইনিংসে মাসাকাদজা ৫২ রান করেছিলেন।

বড় রানের লিড নিয়ে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে: টেইলরের বিদায়ের পর লাঞ্চের আগে বাকিটা পথ কোনো অঘটন ছাড়াই পার করল জিম্বাবুয়ে। এ সময় মাসাকাদজা ও শেন উইলিয়াম ৪৪ রানের অপরাজীত জুটি গড়ে তুলেছে। লাঞ্চর শেষ করে ৮৬ বল থেকে ৩৯ রান নিয়ে মাসাকাদজা এবং ৪৮ বল থেকে ১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামবেন। 

তাইজুলের শিকার টেইলর: চারির বিদায়ের পর ক্রিজে নামা টেইলর দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। যা বাংলাদেশকে আস্তে আস্থে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ৪৭ রানের মাথায় ৪ টি বাউন্ডারিতে ২৫ বলে ২৪ রান করা টেইলরকে ফেরত পাঠালেন তাইজুল। বড় শর্ট খেলতে গিয়ে কায়েসের হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি।

প্রথমেই মিরাজের আঘাত: আজ জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। এ সময় ক্রিজে থাকা ওপেনার ব্রায়েন চারিকে বোল্ড করে প্যাভিলনে বিদায় করেন তিনি। ৩৩ বল থেকে ৪ রানের ইনিংস খেলেন চারি। প্রথম ইনিংসেও ১টি উইকেট পেয়েছিলেন মিরাজ।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় দিনের শেষ দুই সেশন শেষ না হতেই ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অভিষিক্ত আরিফুল হক খেলেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে চাতারা ও সিকান্দার রাজা ৩ টি করে উইকেট নেয়। এছাড়া জার্ভিস ২ টি ও উইলিয়াম ১টি উইকেট নেন।

জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অল আউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়াম। এছাড়া পিটার মুর ৬৩ ও মাসাকাদজা করে ৫৩ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ টি উইকেট নেন তাইজুল। এছাড়া অপু ২টি এবং মিরাজ , মাহমুদুল্লাহ ও রাহি ১টি করে উইকেট নেন।

Bootstrap Image Preview