Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আখ চাষে সাফল্য পাচ্ছেন ঝালকাঠির চাষীরা

খাইরুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৩ PM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৫ PM

bdmorning Image Preview


নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে চিনি একটি অপরিহার্য পণ্য। চিনি উৎপাদনের মূল কাঁচামাল হচ্ছে আখ। আখের ফলনের উপর চিনির উৎপাদন ও বাজার দর নির্ভর করে। কয়েক বছর ধরে আখের ফলন ভালো হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে শুরু করেছে চাষীরা। 

জেলায় এ বছর আখের ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসিঁ ফুটেছে। বর্তমান চাষীদের পাশাপাশি নতুনরাও আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

এ জেলার মাটি এঁটেল দো-আঁশ হওয়ায় এখানে আখ চাষে গত কয়েক বছরে বেশ সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। এবারও তার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করছেন তারা। 

কৃষি অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গ্রামগুলোতে আখ চাষে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। এভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন অনেকে। চলতি মৌসুমে জেলার চারটি উপজেলার ১৭২ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে।

কৃষকরা এ বছর হলুদ রঙের আখ, চিবিয়ে খাওয়া আখ, টেনাই ও অমৃত জাতের আখের আবাদ করেছেন। এসব জাতের আখের আবাদ করতে আশ্বিন মাসই উপযুক্ত সময়। প্রথমে জমির মাটি এক ফুট গর্ত করতে হয়। গর্তের পাশে তিনফুট জায়গা রেখে মাটির সঙ্গে বিভিন্ন সার মিশিয়ে আখের চারা রোপণ করা হয়। বয়স এক বছরের মাঝামাঝি হলে আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়। আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পড়ে। কম পরিশ্রমে ও অল্প ব্যয়ে বেশি সফলতা পাওয়ায় এখানে কৃষকরা আখ চাষে বেশ আগ্রহী হচ্ছেন। তবে উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠি জেলায় আখচাষিদের জন্য নেই কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং নেই কোনো প্রকল্পও।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে। এক চাষি তার দুই একর জমিতে হলুদ বর্ণের গ্যান্ডারি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ১২ হাজার টাকা খরচ করে আখ চাষ করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঝালকাঠির মাটির গুণগত মান ভালো। তাই সময়মতো রোপণ করতে পারলে ফলনও ভালো হয়। বর্তমানে ধান ও অন্যান্য শাক-সবজির তুলনায় আখ চাষে খরচ কম তাই আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।

তিনি আরো জানান, আখ চাষের ওপর আমাদের কোন প্রকল্প নেই। কৃষকরা শুধু পরামর্শটাই পায়। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর কিছুই আসে না। যদি সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বীজ ও সার দেওয়া যেত, তাহলে অনেক কৃষক উপকৃত হতো।

Bootstrap Image Preview