ভারতের আসাম রাজ্যে বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। আসামে হত্যার প্রতিবাদে অল আসাম বেঙ্গলি ইয়ুথ স্টুডেন্ট ফেডারেশনের ডাকে ১২ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়েছে রাজ্যর তিনসুকিয়া জেলায়। হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বন্ধ পালন করেছে বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠন। অন্যদিকে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামকে (উলফা) সন্দেহ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামের তিনসুকিয়া জেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হামলাকারী দলটি পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন উলফার স্বাধীনতাকামী অংশ বলে ধারণা পুলিশের।
এ ঘটনায় উত্তপ্ত পুরো আসাম। হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা। তদন্তে নেমে উলফার দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আসামের বাঙালি সংগঠনগুলোর ডাকে তিনসুকিয়ায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যসভা নিহত পাঁচজনের পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, ‘যারা এই কাজ করেছে তারা কাপুরুষ। তাদের প্রত্যেককে আইনানুগ শাস্তি দেওয়া হবে।’
শনিবার আসাম বনধে্র ডাক দিয়েছে সেখানকার বাংলাভাষী সংগঠনগুলি। গোটা অাসাম জুড়ে জাতি-ধর্ম ভিত্তিক একটা মেরুকরণের অশনি সঙ্কেত দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন তারা।