Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রিয় চিজ কেক খেলেন ড. কামাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪০ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেশের নামকরা হোটেল থেকে আনা হরেক রকমের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় এ সংলাপ শুরু হয়। এ সময় অতিথিদের সামনে দেওয়া হয় কমলা লেবু, আপেল ও তরমুজের শরবত এবং চিপস। এছাড়াও ড. কামাল হোসেনের সামনে তার পছন্দের চিজ কেকও রাখা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাবার পরিবেশনকারী একজন জানান, তিন পদের সঙ্গে সবাইকে চিজ কেক দেয়া হয়। কেকের গায়ে লেখা ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

তিনি আরও জানান, ড. কামাল হোসেনের সামনে চিজ কেক রাখা হয়। সেখান থেকে অংশ বিশেষ নিয়ে তিনি খেয়েছেন।

জানা যায়, এরপর আলোচনা শুরু হওয়ার পর ফাঁকে ফাঁকে খাবার সরবরাহ চলতে থাকে। এসব খাবার তালিকায় ছিল সাদা ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসের কাবাব, মোরগ পোলাও, বাটার নান, মাটন রেজালা, রুই মাছের দো পেঁয়াজা, চিতল মাছের কোপতা, সুপ, নুডলস, মিক্সড ভেজিটেবল।

কয়েক ধরনের সালাদের পাশাপাশি ডেজার্ট হিসেবে ছিল টক দই, মিষ্টি দই ও চিজ কেক। এছাড়াও ছিল কোমল পানীয়, চা ও কফি।

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত এ সংলাপ শুরুর আগেই গণভবনের খাবারের মেন্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিনয়ের সঙ্গে নৈশভোজের খাবার প্রত্যাখ্যান করে। তারা মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ করছে বলেই গণভবনের নৈশভোজ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।

সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ২০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। আর ১৪ দলের পক্ষে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গণভবনে প্রবেশ করেন ১৪ দলের নেতারা। এর ২০ মিনিট পর প্রবেশ করেন ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

এদিকে সংলাপে অংশ নিতে বিকেল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে সংলাপের এজেন্ডা ঠিক করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে সংলাপে যেতে ১৬ নেতাকে নির্বাচন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সংলাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আজ আরো পাঁচজনকে যুক্ত করে তারা। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহও যোগ দেবেন সংলাপে। এঁদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া অন্যরা সংলাপে যোগ দেন।

সংলাপে ১৪ দলের পক্ষে যাঁরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু ও রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যাঁরা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview