প্রতিদিন ১০০ গ্রাম লাল শাক দেহের বহু ভিটামিন ও খাদ্য উপাদানের ঘাটতি দূর করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো রোগও দূরে থাকে।
লালশাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই অ্যানিমিয়া রোগীদের এ শাক খাওয়া ভালো। এ ক্ষেত্রে দুই আঁটি লালশাক পিষে রস নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তা হলে শরীরে কখনো রক্তের অভাব হবে না।
এটি চোখ ভালো রাখে, কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং ক্যানসার থেকে দূরে রাখে। লালশাক হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে, ওজন কমায়।
শাকের মধ্যে থাকা বেশ কিছু উপাদান শরীরে ঢুকলেই বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে খিদে কমে যায়। ঝরে যায় মেদ। হজমের সমস্যা কমলে এমনিতেই বশে থাকবে ওজন। লালশাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, দাঁত মজবুত হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি নিয়ে তাতে একমুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর পানি ফোটাতে থাকুন। পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন।
দুদিনেই জ্বর কমে যাবে। এ ছাড়া লালশাক চুল পড়া রোধ করে। এ ক্ষেত্রে একআঁটি লালশাঁক ভালো করে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তাতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন খালিপেটে এটি পান করলে চুল পড়ার হার অনেকটাই কমে যাবে।