মো. সালাহ উদ্দীন, উখিয়া প্রতিনিধি
একটি কালভার্টের অভাবে ৫ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল আঞ্চলিক সড়কের ৫ গ্রামের হাজারোও মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিতাখোলা কালভার্ডটি পুনর্নির্মাণের নামে অস্থিত্বহীন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে আজ প্রায় ৬ মাস।
স্থানীয়রা বলেন, তারা এমনিতে রোহিঙ্গার প্রভাবে সার্বিকভাবে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কালভার্ডটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে পথচারী ও এলাকায় বসবাসরত মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর আহম্মদ জানান, ৬ মাস পূর্বে উক্ত কালভার্ডটি পুনর্নির্মাণ করার নামে ভাংচুর করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। যার ফলে রহমতেরবিল, উত্তর পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, পণ্ডিত পাড়া, নলবনিয়া ও আঞ্জুমান পাড়াসহ ৫ গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তরিতরকারি বাজারজাতকরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, একজন মূমুর্ষূ রোগিকে হাসপাতালে নিতে হলে দীর্ঘ বিকল্প পথ ধরে নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকটাপন্ন রোগিদের বেলায় অবস্থা মারাত্মক বেগতিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, জেলা এলজিইডি অফিস থেকে উক্ত চিতাখোলা কালভার্ডটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে ৬ মাস পূর্বে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
উক্ত ঠিকাদার ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলে চলে যাওয়ার পর আর দেখা মেলেনি বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানান।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চিতাখোলা কালভার্ডটি নির্মানের জন্য জেলা উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তাদের একাধিক বার অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, চিতাখোলা কালভার্ডটি নির্মাণের জন্য পূনরায় টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।
কবে কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।