Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৮ দফায় জাতির মুক্তি দেখছেন এরশাদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৫৬ PM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এটা হলো মুক্তির পথ, দেশের মুক্তির পথ, জাতির মুক্তির পথ। দেশবাসীর কাছে কিছু বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ এতে প্রাদেশিক সরকার গঠন করে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ও পুনর্গঠন এবং সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

আজ শনিবার(আক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

নব্বইয়ের পর অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হয়েছে মন্তব্য করে এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। আমরা পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ গঠন করতে চাই। আবার ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করবো।

এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোট ক্ষমতায় গেলে “ধর্মীয় মূল্যবোধকে” প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে।’

“আমরা শিল্পায়ন করব। তবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের জন্য ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। এমনিতেই ফসলি জমি কম। নষ্ট করলে আমরা অনাহারে থাকব। আমরা খাদ্যে নিরাপত্তা আনব।”

দেশে স্বাস্থ্য সেবা খাত এবং পরিবেশ নিয়ে নতুন নীতি প্রণয়ণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি এরশাদ বলেন, “আমরা সড়কে নিরাপত্তা চাই। বাচ্চারা যখন বলে, সরকারের মেরামত প্রয়োজন, আমরাও সে কথা বলি।”

জোটের এই সমাবেশে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন এরশাদ। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি জাতিকে ‘অন্ধকারের দিকে’ নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এর সংস্কার চান, পরিবর্তন চান।

ক্ষমতায় গেলে বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ।

এই মহাসমাবেশ মঞ্চে এরশাদের পাশে ছিলেন পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ প্রেসিডিয়াম সদস্যরা এবং জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের নেতারাও সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আমরা বলেছি, জোটগতভাবে ৩০০ আসনে আমরা নির্বাচন করব। আমরা জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচন করেছি। আজও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে দেশের স্বার্থে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টি অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা চাই।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তার রাজনৈতিক জীবনের ‘শেষ নির্বাচন’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শেষ জীবনে আমার জীবনটাকে দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করলাম। দেশবাসীর কাছে একটাই আবেদন, আমাকে দোয়া করবেন, যেন জাতীয় পার্টিকে আমরা ক্ষমতায় আনতে পারি।’

নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টির গণসংযোগ এবং প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলার কথা জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘জোটের শরিকরা তাদের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছেন। তবে আমি বলব, এখানে দলের চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতাই বেশি প্রাধান্য পাবে।’

Bootstrap Image Preview