আমরা প্রতিনিয়ত ব্রণ তাড়াতে কত কিছুই না করে থাকি। তবে অনেকেই ব্রণ সারাতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করতে চান না। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন, আর প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ তাড়াতে চান তাদের জন্য পুদিনা পাতা, নিমপাতা, গোলাপ জলের জুড়ির কোন তুলনা নেই।
এসব প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ উৎকৃষ্টমানের জীবাণুনাশক, যা ব্রণ তৈরিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের গঠন ঠিক রাখে সাহায্য করে।
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে বাজারে যেসব ওষুধ বা ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো ব্যয়বহুল, ঠিক তেমনই তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থেকে যায়। তাই প্রাকৃতিক উপায়েও এই ধরনের সমস্যা দূর করা যায়।
তাই জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায়-
পাতিলেবু:
যাদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তারা পাতিলেবুর রস দিনে দু'তিনবার ব্রণের জায়গাগুলোতে লাগাতে হবে। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখা যাবে না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিমপাতা:
নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে এর সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
গোলাপ জল:
গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ১০-১৫ মিনিট ঘষতে হবে। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সঙ্গে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে।
পাকা পেঁপে:
পাকা পেঁপে চটকে নিতে হবে (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখসহ গোটা শরীরে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে।