Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২০ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২০ PM

bdmorning Image Preview


বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছে। কোরিয়া কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করতে পারে। বাংলাদেশ এখন ১২৯টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। কোরিয়া বাংলাদেশকে অনেকগুলো পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে।

তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট সম্পর্কে বলেন, আদর্শ ছাড়া কোন লক্ষ্য পূরণ হয় না। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের ৭ দফার একটিও গ্রহণযোগ্য নয়। মূল তাদের কোন আদর্শ নেই।

আজ ঢাকায় বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাণিজ্যমেলা ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে আরও বলেন, ড. কামাল হোসেনের টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি আদর্শ ছেড়ে বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। ড. কামাল হোসেনের কি সামর্থ আছে, তা আমাদের জানা আছে। তিনি কোনদিন এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক নেতা জড়িত, আজ তা প্রমাণিত। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যতই কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করুক না কেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মোতাবেক। বর্তমান সরকারের অধিনে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকে, সে কারণে আমাদের আমদানি বেশি।

উল্লেখ্য, শোকেস কোরিয়া ২০১৮ তে কোরিয়ার ২০টি এবং বাংলাদেশের ১৩টি মোট ৩৩টি কোম্পানির ১০০টি স্টল রয়েছে। প্রদর্শিত পণ্যেও মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রনিকস, গাড়ি, সিরামিক, পেপার ও কসমেটিক্স। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। আগামী বছর এ মেলা কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর চেয়ারম্যান এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং ইল, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কোরিয়া ইপিজেড এর প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গাীর সা‘দাত, এলজি ইলেক্ট্রনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডং কন সন এবং শোকেস কোরিয়া এর অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন খান।

Bootstrap Image Preview