একজন বিচারক যেই রায় দিক না কেন তার জন্য বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট
সচিবালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে নুরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহারিন ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। পাশাপাশি দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক।
উল্লেখ্য, বন্ড হাউসের বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ ওঠায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটি অনিয়মের কথা বললেও সাবেক কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম ন্যায় নির্ণায়ক (বিচারক) হিসেবে তার আদেশে মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেসকে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।
পরে কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট ট্রাইব্যুনাল সাবেক কমিশনারের জারি করা ন্যায় নির্ণায়কের (নুরুল ইসলামের) আদেশ রদ ও রহিত করে রিমান্ডের মাধ্যমে মামলাটি পুনরায় ন্যায় নির্ণায়নের জন্য পাঠালে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ পুনরায় নির্ধারিত হয়।
এ অবস্থায় নুরুল ইসলাম ন্যায় নির্ণায়ক (বিচারক) হিসেবে তার আদেশে মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেসকে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।
২০০৭ সালের ২৯ জুন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম ও মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেসের মালিক এম এ তোহাকে আসামি করে খুলনার খালিশপুর থানায় এ মামলা করেন। পরে নুরুল ইসলামের পক্ষে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।