তুর্কি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’বছর ধরে আটক মার্কিন যাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে মুক্তি দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত। তাকে নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে দীর্ঘ টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন থেকেই ব্রানসনের মুক্তি দাবি করে আসলেও তুরস্ক তা মেনে নেয়নি।
তার এ মামলাটিকে ঘিরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। যা তুরস্কের অর্থনীতিকেও বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
২০১৬ সালে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর গুলেন আন্দোলনসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ব্রুনসনকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল তুরস্ক।
শুক্রবার তুরস্কের আদালত ব্রুনসনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর এক মাসের জেল দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্রুনসন আটক থেকে যে সাজা খেটেছেন তার ভিত্তিতে আদালত তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। কৌঁসুলিরা তাকে ১০ বছরের জেল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
ব্রুনসন কোনো ধরনের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ধরনের অপরাধের সাজা হতে পারে ৩৫ বছর পর্যন্ত জেল।
মুক্তি পাওয়ার পর ব্রুনসন বলেন, আমার পরিবার আজকের দিনটির জন্যই প্রার্থনা করছিল। নিজের দেশে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত।
তার মুক্তির রায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন এবং খুব শিগগিরই নিরাপদে তার দেশে ফেরার আশা প্রকাশ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর সম্প্রতি দুদেশের সম্পর্ক ঊষ্ণ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। ব্রুনসনের মুক্তিতে তা আরো এক ধাপ এগুলো।