অপহরণের ১ মাস ৭ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পটুয়াখালীর দশমিনার মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশাকে।
আজ শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর দশমিনা উপজেলা চাঁনপুরার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিশু কন্যা আয়েশা আক্তার মাদরাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আয়েশার বাবা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করে। ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও আয়েশার খোঁজ না পেয়ে আয়েশার বাবা দশমিনা থানায় একটি নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬/১৮।
এরপরে পুলিশর কয়েকটি টিম অনুসন্ধান শুরু করে জানতে পারে হারুন কবিরাজ উল্লেখ্য দিন থেকে এলাকা ত্যাগ করেছে। কবিরাজ হারুন ঠিকানা বিহিন হওয়ায় পুলিশ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারিপুরসহ সাত থেকে আটটি জেলায় অভিযান চালায়। কিন্তু আয়েশার সন্ধান মেলেনি। অনুসন্ধানের ৩৭ দিন পরে পুলিশ রাজধানীর মুগদাপাড়া থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী কবিরাজ হারুনকে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হারুন জানান, তার অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী শাহনাজকে সেবা-শুশ্রষা করার জন্য আয়েশাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে শিশুটি যৌন হয়রানীর শিকার হয়ছে এমন ধারনা করছে পুলিশ। পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ঠিকানা বিহীন হারুন দীর্ঘদিন দশমিনা এলাকার গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ঝার-ফুক দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিল। হারুনের বিভিন্ন স্থানে একাধিক স্ত্রী রয়েছে।