Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশিদের তাড়ানোর দাবি উঠছে প্রকাশ্যে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৩ AM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের মুম্বাইয়ের কথিত অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর দাবি উঠছে প্রকাশ্যে।

বিজেপির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও এমপি বিনয় সহস্রবুদ্ধের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য লোকজন অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে ভায়ান্দারে পাড়ি দিচ্ছে। মুম্বাইয়ের আশেপাশে টিলা-জঙ্গলগুলো দখল করে তারা গড়ে তুলছে বসতি, চালাচ্ছে নানা বেআইনি ধান্দা। এমন কী পুলিশ হানা দিতে গেলেও তাদের পাথর ছুঁড়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে তারা।
বিজেপির এই দাপুটে নেতার হুঁশিয়ারি, অবৈধ বাংলাদেশীর সমস্যা শুধু আসামের নয় - মুম্বাই-সহ গোটা দেশেই তা 'টাইম বোমার মতো টিক-টিক' করছে।

তার দলের সভাপতি অমিত শাহ তো আরো একধাপ এগিয়ে ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের কখনও 'ঘুষপেটিয়া' (অনুপ্রবেশকারী), কখনও 'দীমক' (উইপোকা) বলেও গালাগাল করছেন।

তবে 'বাংলাদেশ বস্তি'তে খোঁজখবর করতে গিয়ে পাওয়া গেছে চমকের পর চমক। বস্তির বাসিন্দা ঊষা, মুকেশরা জানাচ্ছেন তাদের কলোনির নাম বাংলাদেশের নামে হলেও সেখানে একঘর বাঙালি পর্যন্ত নেই। বরং বাইরের একটা দেশের নামে কেন তাদের কলোনির নাম, সেটাই তাদের এতদিন ভাবিয়ে এসেছে।

ভায়ান্দারের এই বাংলাদেশ বস্তি থেকে কয়েক মাইল দূরেই বিশাল গ্রাম জুড়ে আরএসএস-এর থিঙ্কট্যাঙ্ক তথা এনজিও 'রামভাউ মহালগি প্রবোধিনী'র সদর দফতর।

অবৈধ বাংলাদেশীরা মুম্বাইয়ের অর্থনীতিতে কী ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে বিশদ গবেষণার জন্য একটি ফেলোশিপও চালু করছেন তারা।

ওই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক রবীন্দ্র সাঠে মনে বলেন, আমরা ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করতে চাই না। কিন্তু অবৈধ বাংলাদেশীদের প্রশ্নটা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, আর সেটাকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বেই রাখা উচিত।

আসামের সাবেক রাজ্যপাল এস কে সিনহা তার এক রিপোর্টে বলেছিলেন, নিম্ন আসামের পাঁচটি জেলায় যেভাবে বাংলাদেশি মুসলিমরা ঢুকেছে তাতে তারা একদিন বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তিরও দাবি জানাতে পারে। ফলে আমাদের সতর্ক হতে হবে এখনই।

মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালিদের একজন, কবি-সাংবাদিক-চিত্রনির্মাতা ও শিবসেনার সাবেক এমপি প্রীতীশ নন্দী সটান জানিয়েছেন, আসলে ভোটের জন্য মাঝে মাঝে কিছু কিছু পার্টি চেঁচামেচি করে এই ইস্যুটা নিয়ে। কারণ তারা জানে, যদি ঘৃণা ছড়ানো যায় তাহলে সেটা রাগের জন্ম দেবে - আর সেই রাগটা নাগরিকদের ভোটিং প্যাটার্ন বদলে দেবে।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, এই রাগটাই কিন্তু এখনকার এই সময়ে সবচেয়ে ডমিন্যান্ট মেটাফোর! আইডিয়াটা হল সবাই যেন রেগে যেতে চাইছে, একটা লড়াই করার বাহানা খুঁজছে!

Bootstrap Image Preview