Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তিতলির প্রভাবে সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫৩ AM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫৩ AM

bdmorning Image Preview


ঘূর্ণিঝড়তিতলির কারণে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের কয়েকটি গ্রাম দ্বীপের পশ্চিম পার্শে বেড়িবাঁধ না থাকায় গত দুই দিনে সাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারে মসজিদসহ তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবার) প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব ঘরের লোকজন টেকনাফসহ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। সাবরাং ইউনিয়নের ঘোলাপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঝরপাড়া জালিয়াপাড়ার ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।

স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের মতে, দিনেদিনে প্রায় বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হতে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শাহপরীর দ্বীপ। টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাস। পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠতে পারে যে দ্বীপ, সেটির সংকট সমাধানে যথাযথ নজর নেই কর্তৃপক্ষের।

এদিকে দ্বীপের পশ্চিমাংশে মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া পশ্চিমপাড়ার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার প্রায় হাজারো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে দ্বীপের পূর্ব অংশে থাকা লোকজনের ঘরবাড়িতে।

তবে গত পাঁচ বছরে দ্বীপ সাগরে বিলীন হওয়ায় সেখান থেকে অন্যত্র আশ্রয়ে চলে গেছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। খবর পেয়ে বিকেলে ওই এলাকা পরিদর্শনে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান সহকারী কমিশনার ভূমি প্রণয় চাকমা।

এবিষয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিন গণ মাধ্যমকে বলেন, জোয়ারের পানি গত দুই দিনে প্রায় সাগরে বিলীন হয়ে গেছে শাহপরীর দ্বীপের একাংশ, এছাড়া অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভাঙনের আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। যে সব স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে সে সব স্থানে বালির জিও ব্যাগ বস্তা দিয়ে এলাকা রক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। শাহপরীর দ্বীপের প্রায় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, শাহপরীর দ্বীপে সাগরে জোয়ারের পানিতে বিলীন হওয়া সমজিদসহ ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে তালিকা পাঠানো হবে এবং যাতে আর কোনো ঘরবাড়ি সাগরে বিলীন হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে। হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার আরও কয়েক শতাধিক পরিবার।

Bootstrap Image Preview