Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১১ সরকারি কর্মকর্তার লঘুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে রাষ্ট্রপক্ষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪১ AM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪১ AM

bdmorning Image Preview


২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক ৩ আইজিপিসহ ১১ সরকারি কর্মকর্তার লঘুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে এ বিষয়ে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরই তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ সম্পর্কে মামলাটির প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ট্রাইব্যুনাল কোন ভিউ নিয়ে ১১ সরকারি কর্মকর্তাকে ২-৩ বছর করে দণ্ড দিয়েছেন, তা রায় পর্যালোচনা ছাড়া বোঝা যাবে না। তাই আপিলের বিষয়ে রায় পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে উল্লেখিত আসামিদের ৭ জন কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম কারামুক্ত হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব) সাইফুল ইসলাম ডিউক। তিনি ইতোমধ্যে ২ বছর কারাদণ্ডের প্রায় ২৩ মাস কারাভোগ করেছেন।

ডিউকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, ডিউক ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গ্রেফতার হন। এর পর ২০১১ সালের ৪ মে হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ২০১২ সালের ১৯ জুন আপিল বিভাগ জামিন বহাল রাখেন। পরে জামিনের আদেশ আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগে। ফলে তখনই প্রায় ২২ মাস জেল খেটেছেন। এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি জেলে আছেন। সে হিসেবে প্রায় ২৩ মাস জেল খেটেছেন ডিউক।

অন্যদিকে সাবেক ৩ আইজিপি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক এবং খোদা বক্স চৌধুরী ২০১১ সালের ৪ জুলাই এবং মামলার ৩ তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আব্দুর রশীদ একই বছরের ৬ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে মামলাটিতে চার্জগঠন হওয়ার পর ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রায় ঘোষণাকারী বিচারকই ৬ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। সে হিসেবে ওই সময় ৯ মাস ৮ দিন এবং গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ১০ মাস জেল খেটেছেন তারা।

এ সম্পর্কে আসামি আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হকের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১০ মাস জেল খেটেছেন আসামিরা। তবে আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

অন্যদিকে আসামি খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, মুন্সি আতিকুর রহমান ও আব্দুর রশীদের দণ্ডবিধির ২১৮ ধারায় ২ বছর করে এবং ৩৩০ ধারায় ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। উভয় ধারায় আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস করে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশও দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে উভয় ধারার সাজা একযোগে চলার আদেশ থাকায় আসামির ৩ বছর কারাভোগ করতে হবে।

উল্লখ্য, দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর, ২১৭ ধারায় ২ বছর, ২১৮ ধারায় ৩ বছর এবং ৩৩০ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

Bootstrap Image Preview