Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে সারা দেশে নৌ-চলাচল বন্ধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৮ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ‘তিতলি’ ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।

বুধবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিচ্ছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বাতাস বইছে।

বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৪ নম্বর বিপদসংকেত চলতে থাকায় নৌ-নিরাপত্তা এবং নৌ-ট্রাফিক বিভাগ সারা দেশে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নৌ-চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন নৌ-টার্মিনালগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সদরঘাটসহ সারাদেশে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের পর কাল (বৃহস্পতিবার) লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮১৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার মধ্যরাতের দিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

Bootstrap Image Preview