Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে সাজা পেলেন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে, পুলিশের কর্মকর্তারা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM

bdmorning Image Preview


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

এ রায়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক (আইজিপি) খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অব.) রুহুল আমিন, এএসপি (অব.) আবদুর রশিদ ও এএসপি (অব.) মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছে আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন (আমেরিকায়), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, আইজিপি আশরাফুল হুদা, আইজিপি শহুদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান ও ডিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাজার পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।

২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১ জন। কারাগারে থাকা ৩১ আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সামরিক গোয়েন্দা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদা, পুলিশ কর্মকর্তা শহুদুল হক, খোদা বক্স চৌধুরী, বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, আব্দুর রশীদ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ, জঙ্গি সংগঠন হুজির সদস্য আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, শাহদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু হোমাইরা ওরফে পীর সাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মহিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ড. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া।

পলাতক ১৮ আসামি হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ, ডিএমপির সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, হুজি সদস্য মাওলানা তাজউদ্দিন, মহিবুল মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন, খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর, ইকবাল, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন ওরফে দোলোয়ার হোসেন ওরফে জুবায়ের, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও রাতুল আহম্মদ বাবু।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. মাজেদ ভার্ট, আব্দুল মালেক, মহিবুল্লাহ ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন মো. তামিম, মঈনুদ্দিন শেখ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, মো. লুত্ফুজ্জামান বাবর, মেজর জে. রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রি. জে. (অবঃ) আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ আবদুস সালাম পিন্টু ও মো. হানিফ।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান সুমন, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর, মো. আরিফুল ইসলাম, মুহিবুল মুক্তাকিন, আনিসুল মুরসালিন, খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল, তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জেল কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও রাতুল আহমেদ বাবু।

Bootstrap Image Preview