সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ ও যুবরাজের কঠোর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি। উদ্দেশ্য ছিল তার বিবাহ-বিচ্ছেদের সার্টিফিকেট নেয়া। তারপর ৪ দিন ধরে নিখোঁজ সৌদি আরবের বিশিষ্ট সাংবাদিক জামাল খাশোগগি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে খুন হয়েছেন।এমনটাই ধারণা করছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এমন খবর অস্বীকার করেছে।
গত মঙ্গলবার সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের এক কর্মকর্তরা বলেছেন, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ওই সাংবাদিককে হত্যা করে তার লাশ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তুর্কি পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে বলেছে, খাশোগি ইস্তানবুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটেই নিহত হয়েছেন। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর পরই লাশ কনস্যুলেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, খাসোগি একজন সৌদি নাগরিক এবং তার কি হয়েছে তা জানতে তিনি খুবই ব্যগ্র, তারা তুর্কী সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি বলেন, আমি যা বুঝতে পারছি তা হলে তিনি (খাসোগি) কনস্যুলেটে ঢুকে আবার কয়েক মিনিট বা ঘন্টাখানেক পরই বেরিযে যান, তবে আমি নিশ্চিত নই। আমরা তদন্ত করছি।
তিনি আরো বলেন, কনস্যুলেট ভবন সৌদি আরবের নিজ ভূখন্ডের মর্যাদা ভোগ করে কিন্তু তদন্তকারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে অনুমতি দেয়া হবে, এবং তাদের কোন কিছু লুকানোর নেই।
সৌদি আরবে খাসোগির নামে মামলা আছে কিনা এ বিষয়ে যুবরাজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি এর উত্তর না দিয়ে বলেন, তিনি কোথায় আছেন সেটাই তারা প্রথম জানতে জানতে চান।