বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবেতর অবস্থা ও বিশ্ব জনমত সংগঠিত করার লক্ষে জার্মানির হ্যানোভার শহরে ‘কনসার্ট ফর রোহিঙ্গা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হ্যানোভার শহরের আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আরও কিছু মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে জার্মানির জেডিএফ টেলিভিশনের সাংবাদিক জেনিফার সিগলারের তৈরি প্রামাণ্য ডকুমেন্টারি এবং আলোকচিত্রী সরাফ আহমেদ ও সুব্রজিত ভট্টাচার্যের তোলা কুতুপালং ও অন্যান্য রোহিঙ্গা শরণার্থীবিষয়ক ছবি প্রদর্শিত হয়।
জার্মানির অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন সোসাইটি ফর থ্রের্টেন্ড পিপলের প্রতিনিধি হ্যানো সেডলার বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থীবিষয়ক সমস্যাটি বাংলাদেশে। এত অল্প পরিসর জায়গায় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশাল মানবিক মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ব বিবেককে পাশে দাঁড়াতে হবে।
হ্যানোভার শহরের আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক লিপি মাহজাবিন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃসময়ে বাংলাদেশের মহানুভবতা ও দ্রুত সম্মানের সঙ্গে তাদের স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে এখানে সবাইকে অবিহিত করতেই এই কনসার্ট ফর রোহিঙ্গা অনুষ্ঠানটির আয়াজন করা হয়েছে।
হ্যানোভারের মানবাধিকার নেত্রী ও যাজক স্টেফানি সনেনবুর্গ মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার না করে বাস্তুচ্যুত করার ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে ও জোরপূর্বক উৎখাত করা নাগরিকদের দুরবস্থার দ্রুত সমাধানের জন্য বিশ্ব বিবেককে সোচ্চার হতে বলেন।
কনসার্ট ফর রোহিঙ্গা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাট্যশিল্পী গ্রের্ড মিশাইল উরবাক।