নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বান্দরবানের লামায় পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনায় পরিবেশ আইনে করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম এ.টি.এম ইসমাইল শিকদার।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের সহায়তায় শিল্পকলা একাডেমীর সামনে থেকে পুলিশ প্রভাবশালী ওই আসামিকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতারের বিষয়টি দুদকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মাসের ২৭ আগস্ট দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে 'ওই এলাকায় ১৪ একর পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে' এমন অভিযোগ আসলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এ পাহাড় কাটা বন্ধ করে। এ সময় অভিযানে তিনটি পাহাড় কাটার এক্সকেভেটর ও এক লাখ ইট জব্দ, তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং মূল অপরাধী এ.টি.এম ইসমাইল শিকদারকে আসামি করে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর থেকেই পলাতকর্ ছিলেন ইসমাইল শিকদার। ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট তথ্য আসে যে, আসামি সেগুনবাগিচা এলাকায় অবস্থান করছে। তথ্যের ভিত্তিতে দুদক তাৎক্ষণিকভাবে রমনা থানাকে অবহিত করে এবং দুদকের সহায়তায় শিল্পকলা একাডেমীর সম্মুখ হতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটার সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয় জড়িত। আর এর নেপথ্যের কারণ দুর্নীতি। পরিবেশ অধিদফতরের ব্যর্থতার কারণে বেপরোয়া পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ দুর্নীতি বন্ধে দুদকের পরিবেশ রক্ষা অভিযান চলছে।
এমন অপরাধ রোধ করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের যে কোন স্থানে পাহাড় কাটার ঘটনা দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্র দুদককে অবহিত করা প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক কর্তব্য।