Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্বশুরবাড়িতে মেনে চলুন এই ১০ নিয়ম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৭ AM
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৭ AM

bdmorning Image Preview


বিয়ের পর মেয়েদের অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। নতুন পরিবেশ, সমস্যা হওয়াটাই অস্বাভাবিক নয়। নতুন পরিবেশে মানিয়ে চলতে পুরুষদেরও সমস্যা হয় যথেষ্ট। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কটি ভিন্ন ও স্পর্শকাতর, কারণ সামান্য এদিক-ওদিক হলে সেটার প্রভাব দাম্পত্য জীবনেও পড়ে বৈকি।

কীভাবে সহজে মানিয়ে চলা যায় শ্বশুরবাড়িতে? জেনে নিতে পারেন এই ১০ নিয়ম।

১. যদিও নতুন তবু সঙ্গীর সাহায্য নিন, তাঁর কাছ থেকে জেনে নিন কেমন আচরণে পরিবার বিব্রতবোধ করে। সকলের পছন্দ-অপছন্দ জানুন, সকলের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখুন। এতে আপনার জন্যে সহজ হবে। আজীবন কাজে আসবে তথ্যগুলো।

২. সাধারণত প্রতিটি বাড়ির কিছু আলাদা নিয়ম থাকে। অথএব বাড়ির নিয়মগুলো ভালো ভাবে জেনে নিন। যতক্ষণ সবার সাথে আছেন, চেষ্টা করুন নিয়মগুলো মেনে চলতে। পরিবারের একজন দলছুট হয়ে নিয়ম ভঙ্গ করলে শুরুতেই খারাপ প্রভাব পড়ে।

৩. প্রতিটি সম্পর্কের সীমারেখা থাকা জরুরী, তাই স্বামী-স্ত্রী মিলে ঠিক করুন ব্যাপারগুলো। যেমন- শ্বশুরবাড়িতে কী দেবেন আর কীভাবে, উৎসব-অনুষ্ঠানে কী হবে, কোনো ব্যাপারগুলোতে আপনারা কথা বলবেন আর কোনগুলো এড়িয়ে যাবেন ইত্যাদি।

৪. আর্থিক লেনদেন একবারেই পরিহার করুন শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়ের সাথে। উপহার দেয়া বা সাহায্য করা এক ব্যাপার, কিন্তু ধার-দেনার মাঝে একেবারেই যাবেন না। টাকা সম্পর্ক নষ্ট করার মূল।

৫. বড় জন্যেই সম্মান ও ছোটদের জন্যে স্নেহ বরাদ্দ রাখুন। হয়তো মনে মনে আপনি মানুষটিকে পছন্দ করেন না। কিন্তু যেহেতু তারা আত্মীয়, সম্মান ও স্নেহ তাঁদের প্রাপ্য। তাঁদের থেকে গা বাঁচিয়ে চলুন, অসুবিধে নেই। কিন্তু কখনো অসম্মান বা অনাদর করবেন না।

৬. অনেকেই একটা বড় ভুল করেন। সেটা হচ্ছে, নিজে সরাসরি শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সাথে মেলামেশা না করে স্ত্রী বা স্বামীকে দিয়ে করান। এই কাজটি করবেন না। নিজেকে একপাশে সরিয়ে না রেখে সহজ হয়ে মিশুন, সহজেই পরিবার তৈরি হয়ে যাবে।

 

৭. মনেরাখবেন ভনিতা করে বা অভিনয় করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। হয়তো আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি যেমন পছন্দ করেন, আপনি তেমন নন। কিন্তু তাই বলে নিজেকে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী করার চেষ্টা করে লাভ নেই। আপনি যেমন আছেন, সেভাবেই তাঁদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। নিজেকে বদলে ফেলে কিছুই পাবেন না।

৮. শ্বশুরবাড়ির কারো ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাবেন না। যেচে পড়ে উপদেশ দিতে যাবেন না। কেবল তখনই কথা বলুন, যখন অন্য পক্ষ সেটা শুনতে চায়।

৯. নিজেকে শান্ত রাখতে শিখুন। নিজের পরিবারেও অনেক কিছু আমাদের পছন্দ হয় না। সেখানে শ্বশুরবাড়ির সবকিছু বা সবাইকে আপনার ভালো লাগবে, এমনটা ভাবা অনুচিত। নিজেকে শান্ত রাখতে শিখুন। নতুন সবকিছুকেই খারাপ মনে না করে কিছুদিন চেষ্টা করেই দেখুন ভালো লাগে কিনা।

১০. দাম্পত্য জীবনের সবচাইতে বড় সম্বল হচ্ছে ম্যাচিউরিটি। ম্যাচিউর আচরণ আপনাকে যা দিতে পারবে, অন্য কিছুই তা পারবে না। পরিবারের সকলকে বোঝার চেষ্টা করুন, ক্ষমা করতে শিখুন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। কোথায় আপনাকে কী করতে হবে, সহজেই বুঝে যাবেন। মনে রাখবেন, আনন্দ বিনিময় করা খুব সহজ। কেবল চাই একটুখানি চেষ্টা।

দাম্পত্য জীবন সহজ, এমনটা কেউ কখন বলেনি। তবে খুব একটা কঠিন কিছুও নয়। চেষ্টা করুন, সহজেই অর্জন করতে পারবেন সকলের ভালোবাসা।

Bootstrap Image Preview