Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমিরাত ও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আদালতে মামলা করবে কাতার

হাসান বখস, কাতার প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩২ AM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩২ AM

bdmorning Image Preview


কাতারের বার্তা সংস্থা (কিউএনএ)’র ওয়েবসাইটে হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে দোহা। দেশ দুইটির বিরুদ্ধে ‘পাইরেসি’র অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কাতারের অ্যাটর্নি জেনারেল বিন ফেতাইস আল মারি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এ ঘোষণা দেন। তার দাবি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যে হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত তা আন্তর্জাতিক তদন্ত দল প্রমাণ করতে পেরেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

গত বছরের মে মাসের শেষের দিকে কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) এবং সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। হ্যাকাররা কিউএনএ’র ওয়েবসাইটে একটি ভুয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়।

ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ইরান, হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় টিকে থাকবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের জুনে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তুলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে শুরু থেকেই কাতার দাবি করে আসছে দেশটির আমির কখনওই এ ধরনের মন্তব্য করেন নি বরং কিউএনএ’র ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন আইনজ্ঞদের একটি দলের উপস্থিতিতে নিউ ইয়র্কে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, কাতারের অ্যাটর্নি জেনারেল বিন ফেতাইস আল মারি।

সেখানে তিনি দাবি করেন, কিউএনএ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় যে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত জড়িত, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা আলামত সংগ্রহ করেছেন।

তার এ বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল মুকাসি। তিনি নিশ্চিত করেন, গত বছরের মে মাসে কিউএনএ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রিয়াদ ও আবুধাবি যে জড়িত সে ব্যাপারে প্রমাণ আছে। কিভাবে এ ইস্যুটি সামলানো হবে তা নিয়ে তদন্ত দল পরে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক বছর ধরে ঘটনাটি তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে সহযোগিতা করেছে কাতারি কর্তৃপক্ষ। পাইরেসিজনিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হয়েছে।

Bootstrap Image Preview