লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলী বেগমের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পোষ্ট অফিসের সঞ্চয় পত্র ভেঙে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শিউলী বেগমকে সহযোগিতা করেছেন তার স্বামী একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করে দুপুরে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শিউলী বেগমের মামা আঃ হামিদ। আঃ হামিদ ওই উপজেলার পুর্ব বিছনদই এলাকার মৃত আনার উদ্দিনের পুত্র।
সংবাদিক সম্মেলনে আঃ হামিদ বলেন, আমার বোন সালেহা বেগম হাতীবান্ধা পোষ্ট অফিসে ৫ লক্ষ টাকার একটি সঞ্চয়পত্র খুলেন। যার নমিনি ছিলেন, আমার অপর এক বোনের মেয়ে ভাগনী শিউলী বেগম। গত ৩ ফেব্রুয়ারী আমার বোন অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান। আমি ও তার উত্তারাধিকার হাতীবান্ধা পোষ্ট অফিসে যোগাযোগ করি।
এ সময় হাতীবান্ধা পোষ্ট অফিস থেকে আমাদের বলা হয়, সাকসেশন করে উত্তরাধিকারীদের কাছে টাকা বন্টন করা হবে। মৃত ব্যক্তির সঞ্চয় পত্রের টাকা নমিনি নয়, উত্তরাধিকারী পাবেন এমন একটি রায়ও হাইকোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু মৃত সালেহা বেগমের উত্তরাধিকারীদের না জানিয়ে গত ১৯ জুলাই আমার ভাগনী শিউলী বেগম তার স্বামী কেতকী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় উক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। আমি এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কেতকী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তার মামা শ্বশুর ও তার স্ত্রীর মাঝে সঞ্চয়পত্রের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও শিউলী বেগমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।