মো: গোলাম মোস্তফা (দুঃখু)
প্রবাসী জীবন রয়ে গেলো আড়ালে,
এত কষ্ট কাকে বলবো।
ওরা তো চায় টাকা!
শুনার সময় নেই আমার কথা।
যাদের জন্য এলাম,
কষ্টের সাগরের গরম পানিতে।
ওরা বলে টাকা চাই,
পরে বলো তোমার খবর।
টাকা লাগে বেশি নাও,
তাও পরকীয়া করো না।
তুমি আমার ঘরের মানুষ,
তুমি কেন বুঝ না!
যেদিন তুমি প্রথম বাড়ি এসেছিলে!
জীবন মাঝি নতুন করে সেজে ছিলো,
তোমার আসার আলোতে।
সারাদিন থাকি সূর্যের হাসির নিচে,
বুকে ব্যথা পানির অভাবে।
তার পরেও কষ্ট মনে হয় না,
যখন তোমার কথা মনে পড়ে।
মায়ের জন্য কান্না আসে,
বলতে কারো পারি না।
মা যখন ফোনে কথা বলে,
প্রথম জিজ্ঞেস করে।
আমার আদরের ধন,
কেমন আছো বিদেশের মাটিতে?
নীরবতা আমায় বলে দেখ!
মায়ের মন বুঝতে পারে,
ছেলে কি করছে বিদেশের মাটিতে।
প্রতিদিন কথা বলি তোমার সাথে,
তার মাঝেও কোথায় জানি সুখ নেই।
যাদের জন্য এত কষ্ট,
তারা কি বুঝতে পারে।
কি করে পাঠাচ্ছি টাকা!
ছেলে বলে বাবা টাকা লাগবে,
বউ বলে ঘরে ফ্রিজ লাগবে!
মা বলে বাবা শরীর এর খেয়াল রাখিস।
রাতে যখন রুমে আসি,
কান্না আসে মনের ভিতর।
যাকে আমি রেখে এসেছি,
সে কি আমার জন্য বসে থাকে।
আমি যে তোমার ছবি বুকে নিয়ে,
হাজার ইট মাথায় নিয়ে!
ছয়তলা সিড়ি উঠি।
কষ্ট হয় দেহের মাঝে!
মনের ঘরে সুখ আসে,
তোমার ভালোবাসার গল্প যখন মনে পড়ে।
বাড়ি যাবো মনের সুখে,
বহু বছর পর।
সবার আগে মায়ের মুখ,
দেখিবো নয়ন ভরে।
তোমার জন্য কিনেছি আমি,
সোনার গহনা শাড়ি।
ফোনে তুমি বলেছিলে প্রিয়া,
মিষ্টি মধু সুরে।
টিকেট রেডি দেশে যাবো,
মনের নাচনের সাথে।
হ্যালো কে বলছেন?
তোমার বাড়ির কাকি মা।
কি হয়েছে বলবেন আমায়!
তোমার বউ চলে গিয়েছে,
পর পুরুষের হাত ধরে।
এমন কথা শুনার আগে,
মরণ হলো না কেন?
যার সুখের জন্য এলাম বিদেশে,
সে করিলো আমায় পর।
হাজার হাজার ভাই বিদেশ থাকে,
আপন মানুষ রেখে।
কিছু মানুষের জন্য,
বিদেশের মাটিতে কান্না।
আজ ভয়ে পরিণত হয়েছে!