Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: জানাজা ছাড়াই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের দাফন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১২ PM
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাব্বির ও সাজন গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে তাদের জানাজায় আসেনি কোনো এলাকাবাসী। অবশেষে জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে। নিহতরা হলেন, নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেলে সাব্বির ও সাজনের লাশ তাদের এলাকায় নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কায় নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে কোনো হুজুর তাদের জানাজা দিতে রাজি না হওয়ায় পরে জানাজা ছাড়াই বাদ মাগরিব তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে কবরস্থানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, নিহতদের দাফনের সময় এলাকাবাসী সমস্যা করতে পারে এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করতে হয়েছে।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview