করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঘিরে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু দেশে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া সবচেয়ে বেশি মিউটেড এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ ঘোষণা করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হংকং, ইসরায়েল ও বতসোয়ানায় ওমক্রিন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, দেশটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ৬১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে যাদের ১৩ জন নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
অস্ট্রিয়া সন্দেহভাজন একজন আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান বলেছেন, ইতোমধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়েছে বলে তারা মনে করছেন। সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি পালনে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে যদি ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ে থাকে, তাহলে তিনি বিস্মিত হবেন না।
এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবরে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ।
এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ‘বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
রবিবার এক ভাষণে তিনি বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা অনৈতিক বৈষম্যের শিকার।
অবশ্য করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন কতটা সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বেশি সংক্রামক হলেই যে বেশি প্রাণঘাতী হবে- এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে বাজারে থাকা টিকাগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কোম্পানিগুলো।