বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের কাস্টডিতে রয়েছে বলে বিএনপির দাবি সঠিক নয় বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটি শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। তিনি আমাদের কাস্টডিতে নেই, তিনি সরকারের কাস্টডিতে নেই। মুক্ত বলেই তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।
রোববার সংসদে একটি বিল পাসের সময় আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে বিলটির ওপর আলোচনাকালে বিএনপির সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব-জেল বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার বাসা কোনো জেলই বানানো হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে (খালেদা জিয়া) ৬ মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটি শর্ত যুক্ত ছিল, সেটা এখনো আছে। ৪০১ ধারায় যাকে মুক্তি দেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কথা আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। আমরা সেখানে বলেছি তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, বাংলাদেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তিনি এখানকার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন তাদের নেত্রী কাস্টডিতে। তিনি কাস্টডিতে নেই। সি ইজ ফ্রি অ্যান্ড সি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকর্ডিং টু হার উইল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, আমার তার সঙ্গে দ্বিমত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়বো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগেও বলেছেন, একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। ৪০১ ধারায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এটা করতে হলে তাঁকে মূল অবস্থায় (কারাগারে) যেতে হবে। তারপর হয়তো নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, আমার তার সঙ্গে দ্বিমত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়ব না।’