দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভায় বসবে বিএনপি।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দেশব্যাপী সরকারের সতর্কতা জারি, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজব, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করতেই মূলত এই যৌথসভা ডাকা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন অত্যন্ত অসুস্থ। অর্থাৎ যে কথা আমি বলেছিলাম প্রথম দিনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই কথাটাই সঠিক কথা। উনার অবস্থা এখনো স্টিল ক্রিটিক্যাল। এটা ঠিক বলা যাবে না যে, উনি বিপদের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন, এটা বলার কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, মোদ্দা কথা হচ্ছে, তাকে অতি দ্রুত, সময় নষ্ট না করে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা চিকিৎসদের কথা। সরকারের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য না দিয়ে জীবনকে বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশনেত্রীর জীবন এতবেশি মূল্যবান সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য, একটা স্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করবার জন্য উনাকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসক প্রতিদিন বোর্ড মিটিং করেন। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এবং তারা এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন। এক সময়ে তারা ম্যাডামকে দেখতে আসেন। প্রতিদিন যে রিপোর্টগুলো সেগুলো প্রতিদিনই অ্যানালাইসিস করেন এবং সেভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের কয়েকঘণ্টার মধ্যে রাত ১১টার পর থেকেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পরে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে যৌথসভায় বসছে বিএনপি। যৌথসভায় মূল দলের নেতারা ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।