Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দিহানের 'পাশবিক নির্যাতনে' মৃত্যু হয়েছিল সেই মেয়েটির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪০ AM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪০ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) হত্যা মামলায় আদালতে দেওয়া পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বন্ধু ফারদিন ইফতেখার দিহানের 'পাশবিক নির্যাতনে' মৃত্যু হয়েছিল মেয়েটির।

এই মামলায় ফারদিন ইফতেখারকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে। ২২ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েটিকে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করেন ফারদিন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্যান্য ফরেনসিক পরীক্ষায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।'

তবে ফারদিন ইফতেখার দিহানের আইনজীবী রফিকুল ইসলামের দাবি, তার মক্কেল অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।

গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।

পরে কলাবাগান থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানকে আটক করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ফারদিন ইফতেখার কারাগারে রয়েছেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলশিক্ষার্থীর সঙ্গে আসামি ফারদিনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি ফারদিন মেসেঞ্জারে কিশোরীকে পরদিন তাদের বাসায় আসতে প্ররোচিত করেন।

ফারদিন ইফতেখার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, 'সাধারণত দিনের বেলায় বাসা ফাঁকা থাকে। সেদিন (৭ জানুয়ারি) আমার বাবা এবং বড় ভাই রাজশাহীতে থাকেন। মেজ ভাই সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হন। মা বগুড়ার উদ্দেশ্যে সকাল ১০টায় বের হয়ে যান। আমি ১১টার দিকে তাকে (কিশোরী) ফোন দিয়ে বলি, গৃহকর্মী চলে গেলে ফোন দেব।'

মামলার তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর ফারদিন সেদিন দুপুর ১২টার দিকে ফোন দিয়ে কিশোরীকে বাসার বাইরে আসতে বলেন। কিশোরী বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফারদিন তাকে বাসায় নিয়ে আসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি ফারদিন কিশোরীর মেসেঞ্জারে ৬ জানুয়ারি একটি অশ্লীল ভিডিও পাঠান। তাকে ফুসলিয়ে ফারদিন সেদিন নিজের বাসায় এনে ধর্ষণ করে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। ময়নাতদন্তের বিবরণে একটি নৃশংস ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করে।

এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ। নিহত কিশোরীর বান্ধবী, কিশোরীর বাবা-মা, ফারদিনের ভাই, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ মামলাসংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।

কিশোরীর মা বুধবার রাতে বলেন, তার মেয়ের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।

Bootstrap Image Preview