Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাবধান! উপবৃত্তির নামে ০১৮৯৩৬৩৭২৯৮ নাম্বার থেকে দেয়া হচ্ছে এসএমএস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২১, ০১:২৪ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১, ০১:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


‘প্রিয় শিক্ষার্থী, (Covid-19) এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে ৪২০০ টাকা। টাকা গ্রহনের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষাবোর্ডের নম্বরে যোগাযোগ করুন।  মোবা: ০১৮৯৩৬৩৭২৯৮ / ০১৮৪২৭১৫৯৩১।’  দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন তথ্য দিয়ে অনেকের সেলফোনে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে ।

আজ মঙ্গলবার ২ নভেম্বর রাজধানী মোহাম্মদপুর এলাকার সায়মা আক্তারের মোবাইলে এমন এসএমএস দেওয়া হয়। এরপর যেই নম্বর থেকে এসএমএসটি এসেছে সেই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে প্রথমে বিকাশ নাম্বার চাওয়া হয়। পরে বিকাশের পিন নাম্বার জানতে চায়। কিন্তু বিকাশের পিন নাম্বার কেন লাগবে তার কাছে প্রশ্ন করলে নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়।  সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, প্রতারণার উদ্দেশ্যেই এমন মেসেজ পাঠানো হতে পারে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা যাদের ব্যাংক হিসাবে দেওয়া আছে তাদের উপবৃত্তি টাকা সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়। আর যাদের ব্যাংক হিসাব নেই তাদের টাকা বিভিন্ন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবা (বিকাশ, নগদ, রকেট) ইত্যাদি ব্যবহার করে পাঠানো হয়। সরাসরি মোবাইল নম্বর থেকে এভাবে কল বা এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হয় না।

এর আগে বগুড়ার নন্দীগ্রামে এমন তথ্য দিয়ে অনেকের সেলফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর পৌর এলাকার জুথী রানীর মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হয়। এরপর যেই নম্বর থেকে এসএমএসটি এসেছে সেই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। 

 

একই রকম এসএমএস পেয়েছেন পৌর এলাকার কুবির চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘এমন মেসেজ আমার মোবাইলেও এসেছিল। তবে নম্বর আলাদা ছিল। পরে আমি জেনেছি এমন এসএমএস অনেকের মোবাইলফোনে এসেছে।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের যাদের ব্যাংক হিসাব দেওয়া আছে তাদের উপবৃত্তি টাকা সরাসরি সেই হিসাবে জমা হয়। আর যাদের ব্যাংক হিসাব নেই তাদের টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা (বিকাশ, নগদ, রকেট) ইত্যাদি নম্বরে পাঠানো হয়। সরাসরি কোনো মোবাইল নম্বর থেকে এভাবে কল বা এসএমএস পাঠানো হয় না। 
 
নন্দীগ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম জানান, এমন মেসেজের কথা শুনেছি। আমার মনে হয় প্রতারণার উদ্দেশ্যেই এমন মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার বলেন, এগুলো ভুয়া এসএমএস। যাদের টাকা আসবে এমনিতেই চলে আসবে। কোনো ধরনের মেসেজ পাঠানো হবে না। এ ধরনের এসএমএসের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

Bootstrap Image Preview