Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০১:৪৫ PM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১, ০১:৪৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের পরিবেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এ উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জশনে জুলুস করেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।

সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়কে জশনে জুলুস করে আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া। 

হাতে হাতে জাতীয় পতাকা, আঞ্জুমানের পতাকা এবং বিভিন্ন ধরনের বাণী ও স্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জশনে জুলুস করেছে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। পরে জশনে জুলুসটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আলমগীর খানকা শরীফ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোল শহর, ২নং গেইটে ইউ টার্ন হয়ে আবার মুরাদপুর হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে জুলুস শেষ হয়। এরপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে মাহফিল, ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের শান্তির জন্য দোয়া করা হবে।

এবারের জুলুসের নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ।

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলুসের পথ অনেকটাই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তারপরও হাজার হাজার ভক্ত এতে অংশ নিয়েছেন।

জুলুসে অংশ নেওয়া মিজানুর রহমান নামে একজন বলেন, জুলুসের পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এনায়েত বাজার থেকে মুরাদপুরে গিয়ে জুলুসে অংশ নিয়েছি।

এদিকে জুলুস দেখতে সড়কের পাশে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। এ সময় শরবত, কমলা, চকলেট, পানিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়। এছাড়া জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরের সড়ক, মোড় সড়ক, বিভাজক। জশনে জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আয়োজকরা জানান, জুলুসের শৃঙ্খলা এবং মাহফিলের আদব রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

Bootstrap Image Preview