Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশ সীমান্তে ক্ষমতা বাড়িয়েছে ভারতের বিএসএফ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১০ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১০ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এমন তিন রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে বৃহস্পতিবার এতথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঞ্জাব, আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেপ্তার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে।

সাম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই প্রবণতায় রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

অমিত শাহের মন্ত্রণালয়ে এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী নির্দেশিকায় আপত্তি জানিয়ে টুইট করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্রুত এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, জাতীয় সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে সীমান্ত সংলগ্ন স্পর্শকাতর রাজ্যগুলোতে বেআইনি কার্যকলাপ রোধে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা মানতে নারাজ অন্য একটি মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত। বিএসএফের আসল কাজ হল সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ওই কাজ তারা সাফল্যের সঙ্গে করে উঠতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিএসএফের নিত্য সমস্যা লেগে থাকার সূচনা হবে। কারণ এত দিন তাদের কাজের ক্ষেত্র ছিল সীমান্তের আউটপোস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এবার তারা সেই সীমানা পেরিয়ে অন্য এলাকাতেও তল্লাশিতে যাবেন এবং প্রয়োজন মনে করলে গ্রেপ্তার করবেন, তা নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত (ভারত-পাকিস্তান, ভারত-বাংলাদেশ) থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফকে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে এই সীমা ছিল ১৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মনিপুর ও লাদাখে তল্লাশি এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে।

তবে ব্যতিক্রমও আছে। ভারত-পাক সীমান্তবর্তী গুজরাটে এতদিন বিএসএফের আওতায় ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৮০ কিলোমিটার এলাকা। নতুন নিয়মে তা কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আর এক পাক সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থানে অবশ্য আগের মতো ৫০ কিলোমিটারই পরিধি রাখা হয়েছে। নির্দেশিকায় উত্তর-পূর্বের ৫ রাজ্যের ক্ষেত্রে এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের ক্ষেত্রেও সীমানা ঠিক করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী তিন রাজ্যে বিএসএফের নতুন নিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির পারদ চ়ড়তে শুরু করেছে। শুরুতেই আপত্তি জানিয়ে বিধি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে সুর চড়িয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

Bootstrap Image Preview