Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪১ AM
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪১ AM

bdmorning Image Preview


সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার রাতে রবি পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেছেন।

রবির রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল এ পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ বা পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সাথে তারা ৪দফা থেকে সরে এসে এখন এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। 

এদিকে, চুল কাটার ঘটনা ঘটে গত রবিবার দুপুরে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় চুল কাটেন শিক্ষক। এ ঘটনায় ছাত্র নাজমুল হাসান তুহিন অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের সহকারী প্রক্টর রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুনি। এ সময় তাঁরা এই অসম্মানজনক ঘটনার কোনো প্রতিবাদ করেননি। এ ঘটনার পর গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাঞ্ছিত পরীক্ষার্থী ও তাঁদের সহপাঠীরা প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করার জন্য বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের গেটে জড়ো হন। কিন্তু ওই শিক্ষক ও তাঁর ভাড়াটিয়া বাহিনী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সবাইকে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করে। 

এ ঘটনায় লাঞ্ছিত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কয়েক দিন আগে ক্লাস চলাকালে ওই শিক্ষক চুল বড় রাখার বিষয়ে ছাত্রদের গালমন্দ করেন। তাঁরা আরো জানান, পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় আগে থেকেই দরজার সামনে ওই শিক্ষক কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যাঁদের চুল মুঠোর মধ্যে ধরা গেছে, তাঁদের মাথার সামনের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছেন। তাঁরা আরো জানান, সবার সামনে এভাবে তাঁদের লাঞ্ছিত করার পর ওই শিক্ষক জোর করে তাঁদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন।

Bootstrap Image Preview