Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মায়ের খোঁজে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার সাইকেল চালিয়ে গেলেন যুবক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২১, ১০:৪১ PM
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২১, ১০:৪১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


মায়ের নিখোঁজ সংবাদ শুনে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে যানবাহন বন্ধ থাকায় শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে ঢাকার কর্মস্থল থেকে সাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের উদ্দেশে ২৩০ কিমি পাড়ি দিলেন সোহেল আহমেদ (২৮) নামের এক যুবক।

রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে প্রায় ১৪ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। তবে রাত পর্যন্ত তার মায়ের সন্ধান পাননি সোহেল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোহেলের বাড়ি উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপাড় গ্রামের। তার মায়ের নাম হাজেরা বিবি ওরপে কুঠিল (৪৮)। বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসিদ আলির বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে হাজেরা বিবি প্রতিবেশী রকিব মিয়ার বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে ঘুম থেকে উঠে রকিব মিয়ার স্ত্রীকে চা বানানোর কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। রকিব মিয়ার স্ত্রী চা তৈরি করলেও হাজেরা বিবি আর আসেননি। এদিকে সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও হাজেরা বিবি বাড়িতে না ফেরায় তার নাতিন শাম্মী (১০) বাড়ির দাদা আসিদ আলির বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন।

মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিদ আলি বলেন, ‘নাতিনের কাছে খবর পেয়ে বোনের বাড়ি যাই। তার ঘরে দরজা তালাবদ্ধ পাই। তখন আশপাশ এলাকার বাড়িগুলোতে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এক পর্যায়ে প্রতিবেশী রকিব মিয়ার স্ত্রী জানায়, রাতে আমার তাদের বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। ভোরে চা বানিয়ে রাখতে বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে সম্ভাব্য সব আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’

এদিকে, শনিবার মোবাইলে ঘটনাটি ঢাকায় অবস্থানকারী আসিদ আলী তার ভাগনে (হাজেরার ছেলে) সোহেল আহমেদকে জানান। সোহেল মায়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিজেই সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে ১৪ ঘণ্টা পর গ্রামের বাড়িতে আসেন।

সোহেল বাড়ি পৌঁছেই লোকজন নিয়ে রোববার সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও মা হাজেরা বিবির কোন সন্ধান পাননি।

সোহেলের খালাতো ভাই ভানুগাছ চৌমুহনীস্থ সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া জানান, প্রায় ২০-২৫ বছর আগেও একইভাবে তার খালু মানিক মিয়াও নিখোঁজ হয়েছিলেন। যার সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়া নারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’

Bootstrap Image Preview