Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৬ মাস ধরে মেয়েকে ধর্ষণ, অবশেষে গ্রেপ্তার বাবা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২১, ০৯:০০ AM
আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২১, ০৯:০০ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রায় ছয় মাস ধরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবাকে (মায়ের দ্বিতীয় স্বামী) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর পর দুপুরে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত তিনদিন আগেও মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে সৎ বাবা ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি এতদিন গোপন রাখলেও সৎ বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে প্রকাশ করে দেয় কিশোরী। এর পর কিশোরীর মা বাদী হয়ে গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেনিয়া কাটা গ্রামে।

এ সময় ভিকটিম কিশোরী আদালতের বিচারকের কাছে ১২২ ধারায় জবানবন্দিও দেয়। পরে ধর্ষক সৎ বাবাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।

গ্রেপ্তার ধর্ষক সৎ বাবার নাম মো. আবদুল আলীম (৪৪)। সে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চার ধোয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং মিলঘর গ্রামের মজি উল্লাহর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা কিশোরীর মা প্রায় দশ বছর পূর্বে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে ধর্ষক আবদুল আলিমকে। এর পর থেকে আলিম স্ত্রীর সাথে চকরিয়ার বরইতলীতে বসবাস করে আসছিল।

পুলিশ জানায়, কিশোরীর মা ভিক্ষাবৃত্তি এবং বিভিন্ন বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করে সংসার চালান। পূর্বের স্বামীর ঘরের একজন করে তার ২০ বছরের পুত্র ও ১৩ বছরের কন্যা (ধর্ষিতা) সন্তান রয়েছে। পূর্বের সন্তানসহ দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তারা। তিনি (মা) বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিগত ছয়মাস ধরে কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল সৎ বাবা। সর্বশেষ ডুলাহাজারাস্থ ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে মেয়েকে ফের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সৎ বাবা আবদুল আলীম।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা রুজুর পর ধর্ষক সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পর তাকে আদালতে উপস্থাপন এবং সৎ বাবার এমন জঘন্য কাণ্ডের বিষয়টি আদালতের বিচারকের কাছে ১২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ভিকটিম। শেষে আদালত ধর্ষককে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’

Bootstrap Image Preview