Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বউয়ের উপর ‌‘প্রতিশোধ নিতে’ শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ভিডিও ভাইরাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১, ১০:২৪ AM
আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১, ১০:২৪ AM

bdmorning Image Preview


স্ত্রী তালাক দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শ্যালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পরে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েও দিয়েছে অভিযুক্ত। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) নামে দুলাভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র, পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, আট বছর আগে ওই কিশোরীর বড় বোনের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাকের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৩ জুন রাজ্জাককে তালাক দেন তার স্ত্রী। স্ত্রীর তালাকে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আত্মগোপন চলে যান রাজ্জাক। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথায় না পেয়ে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা।

জিডির সূত্র ধরে স্কলছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে পুলিশ। বুধবার (২৮ জুলাই) আব্দুর রাজ্জাক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে শ্যালিকার তিন মিনিটের এক নগ্ন ভিডিও প্রচার করেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বলেন, রাজ্জাক খারাপ প্রকৃতির ছেলে। মাদকসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় গত ২৩ জুন তার বড় মেয়ে তাকে তালাক দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করেন। এ সময় জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এরপর সেই নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করের। তিনি আব্দুর রাজ্জাকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও ফেসবুকে নগ্ন ভিডিও প্রচার করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview