Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে পৌঁছেছে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ টিকা চীন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১, ০১:১২ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১, ০১:১২ PM

bdmorning Image Preview


চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা দেশে পৌঁছেছে। বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকা বহনকারী পৃথক তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় এবং শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রতিটি ফ্লাইটে ১০ লাখ করে টিকা আসে।

শুক্রবার রাতে ফ্লাইটটি অবতরণের পর বিমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সুবিধা দেওয়া হয়।    

মোট ৩০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা দেশে আনতে বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার (একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৮) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারিকালীন সময়ে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান। 

সিনোফার্মের মোট ৪০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা গত ২, ৩, ১৭ ও ১৮ জুলাই মোট চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি পৃথক ফ্লাইটে মোট ৩০ লাখ সিনোফার্মের টিকা ঢাকায় এসেছে। টিকা নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় আসে গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে। দ্বিতীয় ফ্লাইটটি আসে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে। আর তৃতীয় ফ্লাইটটি আসে আজ ভোররাতে।

তাহেরা খন্দকার জানান, বিমানের ফ্লাইটগুলো ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সুবিধা প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চীন সরকারের উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। সেটাই ছিল চীন থেকে আসা টিকার প্রথম চালান। উপহারের টিকার দ্বিতীয় চালানে ৬ লাখ ডোজ টিকা আসে গত ১৩ জুন। এছাড়া ৩ জুলাই এবং ৪ জুলাই দুটি ফ্লাইটে ১০ লাখ করে ২০ লাখ ডোজ, ১৭ জুলাই ১০ লাখ ডোজ এবং ১৮ জুলাই ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে।

গতকাল বাংলাদেশ বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমানের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারিকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।

এ নিয়ে তিনটি চালানে বাংলাদেশকে মোট ৭০ লাখ টিকা পাঠাল চীনের সিনোফার্ম। প্রথম দুই চালানের প্রতিটিতে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বেইজিং থেকে ঢাকায় আসে। চলতি জুলাইয়ের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে এসব টিকা নিয়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে তিন মাসে দেড় কোটি টিকা কিনেছে সরকার। সে অনুযায়ী, সিনোফার্ম থেকে আরও ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীন।

Bootstrap Image Preview