বগুড়ায় কথিত কবিরাজের দেয়া ফিটকিরিযুক্ত পানি খেয়ে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর পর সন্তানের মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন মা। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর মা আদুরী বেগম এবং কথিত কবিরাজ কেসাম উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জন্মের পর থেকে খিঁচুনি আর শ্বাসকষ্টে ভোগা আঁখিকে বেশ কয়েকবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে চিকিৎসা করান ভ্যান চালক অসীম প্রামাণিক। গেলো ১৬ জুলাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর আবারও শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। পরদিন স্থানীয় কবিরাজ কেসাম উদ্দিনের কাছে শিশুকে নিয়ে যায় মা আদুরী বেগম। কবিরাজের দেয়া ফিটকিরিযুক্ত পানি আর কলা পড়া খান মা-শিশু দুজনেই।
স্বজনদের অভিযোগ, কবিরাজের ওষুধ খাওয়ার পর নিস্তেজ হতে হতে একসময় মারা যায় আঁখির। পরে মা নিজ সন্তানের লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দিলে ছড়িয়ে পড়ে আঁখির নিখোঁজ সংবাদ।
ঘটনার সময় শিশুটিকে নিয়ে চান্দারপাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলেন আদুরী। মেয়ে হারানোর খবরে সেখানে ছুটে যান আঁখির বাবা ও স্বজনেরা। দুদিন ধরে অনুসন্ধানের পর জানানো হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারের পর মা আদুরী বেগম এবং কবিরাজ কেসাম উদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।