Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তিউনিসিয়ায় কোভিড ইস্যুতে বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:০৩ PM
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:০৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


তিউনিসিয়াজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট। সেইসাথে পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

দেশটিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার জেরে অসংখ্য মানুষ রবিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।

প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এবার নিজেই দায়িত্ব নেবেন। তিনি আরও জানান যে তিনি দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান। কিন্তু বিরোধীরা তার এই পদক্ষেপকে সামরিক অভ্যুত্থান হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।

সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সংসদ স্থগিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

বিবিসি জানিয়েছে, করোনা সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। রবিবার পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়।

প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ জানিয়েছেন, নতুন সরকার গঠনে সাহায্য করতে তিনি দায়িত্ব নেবেন।

কিন্তু বিরোধীরা তার ঘোষণাকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

কাইস টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বলেছেন, ‘সামাজিক শান্তি না ফেরা পর্যন্ত আমাদের এই সিদ্ধান্ত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী হিচেম মিচিচির বরখাস্তের খবর শুনে রবিবার সন্ধ্যায় সাধারণ মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট কাইসও।

সংসদ ভবনের পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে করোনায় অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের কারণে তিউনিসিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে লাখ লাখ মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেন। তারা সংসদ বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়।

পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে মারেন ও স্লোগান দেন। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী হিচেম মিচিচির পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পিপার স্প্রে করে।

অন্যদিকে রাজধানী তিউনিস ও অন্যান্য শহরগুলোয় হাজার হাজার মানুষ ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে এবং "বেরিয়ে যাও" শ্লোগান দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানায়।

এ সময় সংসদ ও এর আশেপাশের রাস্তা অবরোধ করে নিরাপত্তা বাহিনী। ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় বিপ্লব চলাকালীন বাউরগুইবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

Bootstrap Image Preview