যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্যাকসিনের চালানটি এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে চালানটি গ্রহণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সেসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোঅ্যান ওয়াগনার ও স্বাস্থ্যসচিব লোকমান মিয়াসহ আরও অনেকে।
এই টিকাগুলো সকালে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ফ্লাইটের শিডিউল বদলের কারণে টিকা দেরিতে এলো।
এর আগে কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছিল। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পেল মোট ৫৫ লাখ ডোজ মডার্নার ভ্যাকসিন।
গত ২৯ জুন দেশে অষ্টম টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ টিকা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।
২২ জুন হোয়াইট হাউস করোনার টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে ১ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেবে, সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
গত ৩ জুন হোয়াইট হাউস আড়াই কোটি টিকা বণ্টনের ঘোষণা দিয়েছিল। তাতেও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ৭০ লাখ ডোজ টিকা যেসব দেশে দেওয়া হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র তার মজুত থেকে যে টিকা সরবরাহ করবে, তা হবে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত। তবে জানা গেছে, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, রাশিয়া উৎপাদিত স্পুতনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের ভেরো সেল, বেলজিয়ামের ফাইজার, চীনের সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের জনসন ও সুইডেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।