রাজধানীর গাবতলীর কোরবানির হাট থেকে ১১ জন বন্ধু মিলে তুরাগ নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে ফেরদৌস নামে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। তার ১০ জন বন্ধুর সামনে থেকে ফেরদৌস নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বেশ রহস্যজনক।
নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে হত্যার জন্যই বন্ধুরা পরিকল্পনা করে সেখানে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তার ১০ বন্ধুকে আটক করেছে নৌপুলিশ।
ফেরদৌস বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সোমবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গোসলের সময়ের ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, রাজীব তার এক বন্ধুর কাছে রয়েছে। দু’জনই পানিতে ঝাপাঝাপি করছে। এ সময় বন্ধুদের চিৎকারও শোনা যায়। কিন্তু এক সময় ফেরদৌস নিখোঁজ হয়ে যায়। ভিডিওতে রাজীব তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে এমন মনে হয়নি। যে কারণে ফেরদৌসের পরিবারের অভিযোগ সুকৌশলে ফেরদৌসকে হত্যার জন্য মিরপুরের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফেরদৌসের এক ভাই জানান, যে রাজীবকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিছুদিন আগে সেই ফেরদৌসকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করেছিল। ফেরদৌস হাত দিয়ে ফেরানোর কারণে হাতে সেই দাগ রয়ে গেছে। ফেরদৌস সাঁতার না জানা সত্বেও তাকে নিয়ে তার বন্ধুরা গোসল করতে গেছে। আর রাজীব তাকে নিয়ে যায় গলা পানিতে। এ থেকেই তারা সেটাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন।
ফেরদৌসের ভাই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আলামিন জানান, তারা ডিএমপির দারুস সালাম থানায় অভিযোগ করবেন। তাকে খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফেরদৌস সাঁতার জানে না এ বিষয়টি তার বন্ধুরা জানে। এরপরও তাকে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়াটা পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।
ফেরদৌসের এক আত্মীয় জানান, সোমবার দুপুরের দিকে তার বন্ধুরা গাবতলী গরুর হাটে যাওয়ার কথা বলে ফেরদৌসকে নিয়ে যায়। তারা গরুর হাটে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ফেরদৌসকে নিয়ে কাছেই কয়লাঘাট এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে জোর করে ফেরদৌসকে গোসল করতে নামায়। এরপর একজন সেই গোসলের ভিডিও করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ফেরদৌস।