নেইমারের ফর্ম: দেশের জার্সি গায়ে জড়ালেই আবেগ ছুঁয়ে যায় নেইমারকে। ক্লাবের হয়ে পারফরম্যান্সে ওঠানামা করলেও ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামলেই নিজেকে উজাড় করে দেন ২৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। ইনজুরির কারণে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকা খেলতে না পারা নেইমার চলতি আসরে দারুণ ফর্মে আছেন। গোল করার সঙ্গে সতীর্থকে দিয়ে গোল করাচ্ছেন তিনি। সবুজ গালিচায় চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিংয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। আর নেইমার হলেন বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। কোপার ফাইনালে আর্জেন্টাইনদের জন্য বড় দুশ্চিন্তা হলো নেইমারের ফর্ম। এবারের আসরে দুই গোল করা নেইমার সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন তিন গোল।
তিতের ট্যাকটিস: ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর কোচ তিতের অধীনে অপরাজেয় ব্রাজিল দল। গত কোপা আমেরিকায় তিতের কৌশলে বাজিমাত করেছিল সেলেসাওরা। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করেছিল তারা। ফাইনালে পেরুকে হারিয়ে জিতেছিল কোপার নবম শিরোপা। চলতি প্রতিযোগিতাতেও ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনের সময় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিতে, যার সফলও পেয়েছে ব্রাজিল।
শক্তিশালী ব্যাকলাইন: চলতি কোপায় সবচেয়ে শক্তিশালী ডিফেন্স লাইন হলো ব্রাজিলের। দুই গোল হজম করেছে তারা। রক্ষণের সঙ্গে ব্রাজিলের ব্যাকলাইনও শক্তিশালী। বিশেষ করে কোপায় মধ্যমাঠে খেলা রিয়াল তারকা কাসেমিরো দ্রুতই নিচে নেমে আসতে পারেন। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলানোর কাজটা দারুণভাবে করে আসা থিয়াগো সিলভারা ফাইনালে আর্জেন্টিনার জন্য বড় দুশ্চিন্তা।