করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে যাওয়া শাটডাউন নিশ্চিতে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার দুপুরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে লকডাউন আসছে। সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন, বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন।’
সরকার থেকে কঠোর লকডাউন বললেও এবারের বিধিনিষেধ সব মহলে পরিচিতি পেয়েছে ‘শাটডাউন’ হিসেবে।
সবাইকে কঠোর লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামনের লকডাউন মেনে চলা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউন সুন্দরভাবে পালিত হয় এবং আমাদের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যাও যাতে কমিয়ে আনতে পারি।’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘করোনা বাড়ছে। আমাদের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো এবং অন্য জেলায় করোনা ছড়িয়েছে। প্রায় জেলাতেই ২০ শতাংশের বেশি, কোথাও ৩০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হয়েছে।’
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চলাচল অব্যাহত ছিল। আমাদের বাস, ট্রাক, ট্রেন, নৌযান চলাচল করেছে। আমের ব্যবসার দিকে আমরা লক্ষ রেখেছি। সেখানে অনেক একটিভিটিস হয়েছে। আমাদের ধান কাটতে দিতে হয়েছে। আমরা কোনো কিছুই বন্ধ রাখতে পারিনি। আমাদের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু ছিল। বিদেশের যারা যাত্রী তাদের যেতে দিতে হয়েছে, বিদেশ থেকে যারা আসতে চায় তাদের আমাদের আনতে হয়েছে।’
তাই সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, যে যেখানেই আছেন সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন, স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউন মেনে চলবেন।
‘লকডাউন মেনে না চললে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। রোগীর সংখ্যা বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে মুশকিল হবে। ইতোমধ্যে দেশের ৫-৬ হাজার বেডে রোগী ভর্তি হয়ে গেছে।’
সবার কল্যাণে দেশে এখনই করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের অর্থনীতি ব্যাহত হবে। বিদেশে কর্মী যাওয়া ব্যাহত হবে। ভিসা-প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাবে।’