স্ত্রী-সন্তানের সুখ-শান্তির জন্য স্বামী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। আর বাড়িতে স্ত্রী সুখের সাগরে গা ভাসান। অনেক স্ত্রী স্বামীকে দোষারোপ করে বলেন- শুধু টাকা-পয়সায় সুখ-শান্তি আনে না।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ে। উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক যুবক ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রমিকের কাজ করে ঘাম ঝরাচ্ছেন আর স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করছে। অবশেষে রোববার ভোরে ধরা খেয়েছে গ্রামবাসীর হাতে। দুই দিন ধরে ওই প্রেমিক যুগলকে একটি ঘরের ভেতর বন্দি করে রাখা হয়।
রোববার ভোরে ঢাকার ধামরাইয়ে বালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসী জানান, পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে পাশের চৌহাট ইউনিয়নের মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে স্বামী বেচারা বিমানবন্দরে কার্গো বিমানের শ্রমিকের চাকরি নেয় বছরখানেক ধরে।
স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে স্ত্রী পিতার বাড়ি এলাকার মো. আব্দুর রউফ মুন্সির ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। স্বামীর অবর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় ও একই ঘরে রাত কাটায়। বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ পিতা-মাতা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুত্রবধূকে শাসন-বারণ করলেও সে তাদের শাসন-বারণের কোনো তোয়াক্কা করে না।
রোববার ভোর ৪টার দিকে মেলামেশারত অবস্থায় ওই প্রেমিকযুগলকে আটক করে মারধরের পর ঘরের মধ্যেই তাদের আটকে রাখে। রোববার পুর ১২টার দিকে ওই গৃহবধূর পিতা এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। তবে গৃহবধূর স্বামী না আসায় ওই প্রেমিক যুগলকে দিনভর ওই রুমের মধ্যে আটক করে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পুত্রবধূকে বহু শাসন ও বাধা নিষেধ করেছি। কিন্তু সে আমার কোনো কথাই কানে নেয়নি। শুনলে আজ এ পরিণতি দেখতে হতো না। শুধু শিশু বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে বিষয়টি আমার ছেলেকে কখনো বলিনি।
ওই গৃহবধূ বলেন, টাকায় কখনও সুখ-শান্তি আসে না। আমার স্বামী তা কোনোদিন বুঝার চেষ্টা করেনি। জাহাঙ্গীর আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। বিধায় আমি জাহাঙ্গীরকে ভালোবেসে ওর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হই।
প্রেমিক জাহাঙ্গীর জানান, সে আমাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আমিও তেমনি ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। বেঁচে থাকলে ওকে নিয়েই বেঁচে থাকব। আর মরলেও দুজন একসঙ্গে মরব।
ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবুল হাসেম বকুল বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। গৃহবধূর স্বামী না আসার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।