Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাসিকের অসহ্য ব্যথা নিরসনে যা করবেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২১, ১২:০৯ PM
আপডেট: ৩০ মে ২০২১, ১২:০৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


মেয়েদের মাসিক শুরুর পর তাকে কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি অন্তত ছয় মাস পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের অধ্যাপক শিউলী চৌধুরী বলছেন, জীবনের শুরুতে ভয় বা মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে মেয়েদের মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অনেক মেয়ের জন্যই খুবই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেকে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে তলপেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব করেন।

মেয়ে এবং তার পরিবারের করণীয় : অধ্যাপক শিউলি চৌধুরীর মতে প্রথমত কাউন্সিলিং প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং তৃতীয়ত বিশ্রাম। এমন পরিস্থিতিতে এসব বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলছেন, প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে রক্তস্বল্পতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরে জটিল সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় পুষ্টিকর বিশেষ করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অধিক পরিমাণ খেতে হবে। মাসিকের সময় মেয়েদের শরীর থেকে ভিটামিন ও খনিজ বের হয়। তাই এই সময় চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে সুষম খাদ্যের তালিকা করা উচিত।

এ বিষয়ে মায়েদের উচিত মেয়ের সমস্যার শুরু থেকেই খোলামেলা আলাপ করা এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ৬ মাস পর্যন্ত ক্যালেন্ডার বা গণনার মাধ্যমে মাসিকের সময়কাল পর্যবেক্ষণ করে ডায়েরিতে নোট করা।

এ অধ্যাপকের মতে, মাসিকের সময় মেয়েদের শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে থাকে। অনেকের নিয়মিত মাসিক হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে দেরি করে হয়ে থাকে। আবার অনেকের রক্তক্ষরণ বেশি হয় যা রক্তস্বল্পতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই সময় উদ্বিগ্ন না হয়ে পরিচর্যা করা উচিত।

মাসিককে কেন্দ্র করে মেয়েদের শরীরের পরিচর্যার কিছু বিষয়কে বিবেচনায় রাখার জন্য বলছেন এ বিশেষজ্ঞ। বিষয়গুলো হলো-

- পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ।

- হাইজিন সম্পর্কে ধারণা।

- পর্যাপ্ত বিশ্রাম।

- খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ভিটামিন নিশ্চিত করা।

- প্রয়োজনে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সহায়তা নেয়া।

- ইউনিসেফের পরামর্শ :

- বাবা-মা ও পরিবারের অন্য নারীদের সঙ্গে কথা বলা।

- স্যানিটারি ন্যাপকিন বা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করা এবং অভিজ্ঞদের কাছে ব্যবহার বিধি জেনে নেয়া।

- মাসিকের সময় ব্যবহৃত পোশাক নোংরা পানিতে না ধোয়া বরং সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধোয়া।

- মাসিকের কাপড় অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় না শুকিয়ে বরং পরিষ্কার জায়গায় রোদে শুকানো ও নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ।

- পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। অন্য সময়ের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়া।

- তলপেটের ব্যথার সময় বোতলে গরম পানি নিয়ে স্যাক দিলে আরাম পাওয়া যাবে।

- অতিরিক্ত ব্যথা বা সংরক্ষণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

- বিশ্রামে থাকতে হবে, তবে স্কুলে যাওয়া বা ঘরের কাজ করার মতো স্বাভাবিক কাজ করা অব্যাহত রাখা।

- মাসিকের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ব্যায়াম শরীর ও মনকে ভালো রাখতে পারে।

সূত্র : বিবিসি

Bootstrap Image Preview