প্রেমিকার জন্মদিন, যেভাবেই হোক শুভেচ্ছা জানাতেই হবে। অথচ কঠোর লকডাউনে বের হওয়ার সুযোগই নেই। তখনই প্রেমিক যুবক ফন্দি এটে বেশ ধরলেন ম্যাজিস্ট্রেটের।
ঘটনা প্রতিবেশী ভারতের আসাম রাজ্যের জোড়হাটের তিতাবর শহরের। ওই শহরেরই ছেলে বিশ্বজিৎ দত্ত। অল্প বয়স, উড়ুউড়ু প্রেমিক মন, কোনও বাধাই তার কাছে বাধা নয়। প্রেমিকার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে যেতেই হবে!
কিন্তু বাধ সাধছে কোভিড প্রোটোকল। লকডাউনের মধ্যে ঢেকিয়াজুলিতে প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। অবশেষে মাথা খাটিয়ে এমন এক ফন্দি বের করলো সে, যা ফিল্মি গল্পকেও হার মানায়। তার পরিকল্পনা শুধু অভিনবই নয় যথেষ্ট ঝুঁকিরও। চেকপোস্টের পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের ছদ্মবেশ ধরে বিশ্বজিৎ।
পুলিশ জানায়, বিশ্বজিৎ প্রথমে একটি গাড়ি ভাড়া নেয়। গাড়ির সামনের কাচে ‘ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট’ লেখা প্রিন্ট আউট লাগিয়ে দেয়। গাড়ির চালককে অনেক টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে।
ওই গাড়ির চালকই বিশ্বজিতের কাণ্ডকারখানা ফাঁস করেছেন। তিনি বলেন, আমি তাকে প্রথমে একটা জন্মদিনের পার্টিতে নিয়ে যাই। সে ওখানে থেকে যায়। আর আমায় তখনকার মত চলে যেতে বলে। পরে আবার ডেকে পাঠিয়ে, আমাকে নিয়ে এদিক ওদিক, অনেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। সেদিন আমার প্রায় ৫ হাজার টাকার তেল পুড়েছে।
আর শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে বিশ্বজিৎ। পরে জানা যায়, নিজের পরিচয় ভাঁড়িয়ে মানুষকে বোকা বানানো বিশ্বজিতের পুরনো অভ্যেস। এর আগেও সে পুলিশ, আইনজীবী এবং গত বছরের লকডাউনে ডাক্তার সেজে ধরা পড়ে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস