Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শতভাগ অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান: জরিপের ফলাফল প্রকাশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ০৫:৪১ PM
আপডেট: ১০ মে ২০২১, ০৫:৪১ PM

bdmorning Image Preview


করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় শতভাগ অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান। তারা বলছেন, স্কুল খুলে দিলেই তারা সন্তানদের ক্লাস করতে পাঠাবেন। কারণ, সন্তানরা নিয়মিত বাইরে যাচ্ছে। আবার ক্লাসের ক্ষতি পোষাতে কোচিং সেন্টারে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। 

গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার (পিপিআরসি) এবং বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিজিআইডি) পরিচালিক এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

২০২০ সালের এপ্রিল এবং চলতি বছরের মার্চে ছয় হাজারের অধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ সমীক্ষা করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিজিআইডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন।

সোমবার (১০ মে) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করা ওই গবেষণার প্রতিবেদনে, প্রাথমিকের ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এমন মতামত দিয়েছেন।

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে সন্তানদের পড়াশোনায় অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষায় আগ্রহ কমছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার ক্ষতি কিছুটা কমাতে কোচিং সেন্টারের ওপর নির্ভর হচ্ছেন। এতে শিক্ষার খরচ ১১ থেকে ১৩ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। যা তারা বাড়াতে চান না। 

আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ‘অটো পাস’ এর কারণে ভবিষ্যতে চাকরি জীবনে গিয়ে সন্তানরা কোনো সমস্যায় পড়েন কিনা, তা নিয়েও তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন। সবমিলে তারা আর অপেক্ষা করতে চান না।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলে ভবিষ্যত জীবনে সন্তান সমস্যায় পড়বে, এমন আশঙ্কা থেকে অতি দরিদ্র ৫৯ শতাংশ বাবা-মা তাদের ছেলেমেয়ের কোচিং সেন্টারে পাঠিয়েছেন। আবার স্কুল খোলা থাকার সময়ে কওমি মাদ্রাসা খোলা থাকায় এখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেড়েছে।

এ অবস্থায় আগামী বাজেটে প্রাথমিকের শিক্ষার্থী প্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে মোট ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে পিপিআরসি এবং বিআইজিডি।

Bootstrap Image Preview