Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থীদের জয়জয়কার: মন্ত্রিপরিষদে ৭ , বিধানসভা ৪২

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ০৫:২৫ PM
আপডেট: ১০ মে ২০২১, ০৫:২৬ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে এবার মাত্র ৪২ জন মুসলিম প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ৪১জনই জয়ী হয়েছেন। আর আইএসএফের প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মুসলিম ভোট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে রাজ্যে। ২৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রায় ১০০টি আসনের ভবিষ্যৎ ঠিক করে মুসলিম ভোট।

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়ী মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৫৯ জন।

এরপরের নির্বাচনে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৯৪ সদস্য আসনবিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ৫৬ জন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হন।  তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকেটে জয় পান মোট ২৯ জন, কংগ্রেসের ১৮ জন, সিপিআইএমের ৮জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হন।

২০১৬ সালের তৃণমূলের জয়ী বিধায়কদের মধ্যে ৭ জন মন্ত্রীত্ব পান।  তারা হলেন- জাভেদ খান, ফিরহাদ হাকিম, আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, গোলাম রব্বানি ও জাকির হোসেন।

১. আমডাঙ্গা আসন থেকে রফিকুর রহমান

২. বাদুরিয়া আসন থেকে আবদুর রহিম কাজী

৩. বশিরহাট উত্তর থেকে রফিকু ইসলাম মণ্ডল

৪.  বেলেডাঙ্গা থেকে হাসানুজ্জামান এসকে

৫. ভাগাবাঙ্গুলা থেকে ইদ্রিস আলী

৬. ভাঙ্গর থেকে নওশাদ সিদ্দিকী (আইএসএফ)

৭. ভারতপুর থেকে হুমায়ুন কবীর

৮. ক্যানিং পূর্ব থেকে শওকত মোল্লা

৯. চাকুলিয়া থেকে আজাদ মিনহাজুল আরফিন

১০. ছাপড়া থেকে রুকবানুর রহমান

১১. চোপড়া থেকে হামিদুর রহমান

১২. দেবরা থেকে হুমায়ূন কবীর

১৩. ডেগাঙ্গা থেকে রহিমা মণ্ডল

১৪. দুমকল থেকে জাফিকুল ইসলাম

১৫. ফারাকা থেকে মনিরুল ইসলাম

১৬. গোয়ালপোখার থেকে মো. গোলাম রাব্বানী

১৭. হারিহারপাড়া থেকে নিয়ামত শেখ

১৮. হরিশচন্দ্রপুর থেকে তাজমুল হোসাইন

১৯. হাওড়া থেকে ইসলাম এসকে নূরুল (হাজী)

২০. ইসলামপুর থেকে আবদুল করিম চৌধুরী

২১. ইতাহার থেকে মোশাররফ হোসেন

২২. জালাঙ্গি থেকে আবদুর রাজ্জাক

২৩. কালিগঞ্জ থেকে নাসির উদ্দিন আহমেদ

২৪.  কসবা থেকে আহমেদ জাভেদ খান

২৫. কেতুগ্রাম থেকে শেখ শাহনেওয়াজ

২৬. কলকাতা পোর্ট থেকে ফিরহাদ হাকিম

২৭. কুমারগঞ্জ থেকে তুরাফ হোসেন মণ্ডল  

২৮. লালগোলা থেকে আলী মোহাম্মদ

২৯. মাগরাহাট পশ্চিম থেকে গিয়াস উদ্দিন মোল্লা

৩০. মালতিপুর থেকে আবদুর রহিম বক্সি

৩১. মেথিয়াবুরুজ থেকে আবদুল খালেক মোল্লা

৩২.মন্তেশ্বর থেকে শাইখুল হাদিস মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

৩৩. মোথাবাড়ি থেকে সাবিনা ইয়াসমিন

৩৪. মুরারাই থেকে ডা. মোশাররফ হোসেন

৩৫. নাকাশিপাড়া থেকে কল্লোল খান

৩৬. নাওদা থেকে শাহীন মোমতাজ খান

৩৭. পানসকোড়া পশ্চিম থেকে ফিরোজা বিবি

৩৮. রঘুনাথগঞ্জ থেকে আখরুজ্জামান

৩৯. রানীনগর থেকে আবদুল সৌমিক হোসাইন

৪০. রেজিনগর থেকে রবিউল আলম

৪১. সোনারপুর উত্তর থেকে ফিরদৌসী বেগম ও

৪২. সুজাপুর থেকে সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল গণি (পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে) বিজয়ী হয়েছেন।

আসুন জেনে নিই মমতার মন্ত্রিসভায় মুসলিম নেতাদের বিস্তারিত পরিচয়-

ফিরহাদ হাকিমঃ ভারতের স্বাধীনতার পর কলকাতার প্রথম মুসলিম মেয়র হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ববি হাকিম নামে বেশি পরিচিত এই নেতা আগে থেকেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন এবং পৌর দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক। কিন্তু তারপর থেকে কখনও কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফিরহাদ হাকিম দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অঞ্চলের মানুষ। কংগ্রেস রাজনীতি করতে করতেই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা এবং গত শতাব্দীর নয়ের দশকের শেষ দিকে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে প্রথম ভোটে জেতা।

যতদিন গেছে, ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম।

কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছিয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী।

আর রাজনীতির ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছেন মমতা ব্যানার্জীর 'ম্যান ফ্রাইডে'দের অন্যতম।

এক সাক্ষাৎকারে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তার দাদু বিহারের গয়া জেলা থেকে কলকাতায় এসে ব্যবসা শুরু করেন। বাবা ছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আইন কর্মকর্তা। আর মা ছিলেন কলকাতার একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা।

ফিরহাদ হাকিমের মায়ের আদি বাড়ি ছিল ফরিদপুরে।

তার মা হিন্দু মুখার্জী পরিবারের সন্তান ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমের বাল্যবন্ধু ঋষিকেশ মুখার্জি।

তিনি বলেন, "ববি ধর্মে মুসলমান ঠিকই, নিয়মিত নামাজও পড়ে, গত বছর হজ করে এসেছে, কিন্তু ওর মধ্যে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গটা একেবারেই নেই। ওর মা ছিলেন পূর্ব বঙ্গীয় হিন্দু পরিবারের মানুষ, বোনের বিয়ে দিয়েছে হিন্দু পরিবারে।"

জাভেদ আহমেদ খানঃ তিনি এর আগেও তিনি মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কসবা আসন থেকে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে ১লাখ ২০ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রনীল খাঁ পেয়েছেন ৫৭,৭৫০ ভোট। অর্থাৎ তিনি ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন।

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি তিনি। ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। পরবর্তীকালে তাকে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী করা হয় এবং গণশিক্ষা, গ্রন্থাগার এবং সংসদীয় বিষয়গুলিতে স্বতন্ত্র দায়িত্বে ছিলেন।

গোলাম রব্বানিঃ তৃণমূলের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় অর্থা‍ৎ বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুর থেকে তিনি বিধায়ক হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১১ সালে গোয়ালপোখর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করেন ১৯৯৩ সালে৷ ১৯৯৭ সালে ইসলামপুর হাইস্কুলে শিক্ষক নিযুক্ত হন৷

২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রব্বানি৷ ২০১৬ সালে তৃণমূলের হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব পান ঠাণ্ডা মাথার মানুষ হিসেবে পরিচিত গোলাম রাব্বানি।

আখরুজ্জামানঃ মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন। আখরুজ্জামানের বাবা হাবিবুর রহমান বিধায়ক ছিলেন ২৫ বছর। বাবার পরে ২০১১ সালে তৃণমূল জোটের শরিক হয়ে বিধায়ক হন আখরুজ্জামান। ২০১৬ সালে জিতেছেন কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট প্রার্থী হিসেবে ২৪ হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে। দুই বছর আগে তিনি কংগ্রেস থেকে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আখরুজ্জামানের বাবা হাবিবুর রহমান পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। হাবিবুর সাইকেল ভেঙে গ্রামে গ্রামে ছুটে শিশুদের লেখাপড়া উদ্বুদ্ধ করতেন। এজন্য তিনি সবার কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।

হুমায়ুন কবীরঃ চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। যদিও তার এপ্রিল পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ছিল। কিন্তু চাকরির মেয়াদের তিন মাস আগে পদত্যাগ করেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয় তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। ২০০৩ ব্যাচের এই সাবেক আইপিএস অফিসারের স্ত্রী অনিন্দিতা কবীর আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

সাবিনা ইয়াসমিনঃ তিনি এর আগের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে ২০১১ সাল থেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী সাবিয়া ইয়াসমিন বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হবার পূর্বে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন।

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মনোনয়নে তিনি মোথাবাড়ি থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি সহ সাতজন মুসলিম নারী সেবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১১ সালের মে মাসে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকারের প্রথম মুসলিম নারী মন্ত্রী।

২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে তিনি পুনরায় মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি দল পরিবর্তন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৪২ জন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মুসলিম প্রার্থী ছিলেন ৫৭ জন। অর্থাৎ, এবার তৃণমূলের মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে। অর্থাৎ ২৬ শতাংশের মতো কমেছে সংখ্যালঘু প্রার্থীর সংখ্যা।

এর আগে ২০১১ সালে ৩৮ জন সংখ্যলঘু প্রার্থী তৃণমূলের টিকিট পেয়েছিলেন।

অসাম্প্রদায়িক মমতায় আস্থা মুসলমানদেরঃ যে সময় মমতার দলের শতাধিক নেতা বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। এরমধ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর মতো জনপ্রিয় তারকাদেরও মাঠে নামিয়েছিল বিজেপি। তারা ঘোষণাও দিয়েছিল যে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দখল করবে।

ঠিক ওই সময় ভারতের মুসলিমরা রাজ্যের শান্তি ও শৃংখলা বজায় রাখতে অসাম্প্রদায়িকতাকেই বেছে নিয়েছেন। তারা ফুরফুরা দরবার শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর জোটে ভোট না দিয়ে মমতার দলেই আস্থা রেখেছেন। যার ফলে মমতা পেয়েছেন ভূমিধস জয়। তবে এ নিয়ে মুসলমানদের প্রতি বিজেপির ক্ষোভের অন্ত নেই।

বিজেপির আইটি সেল থেকে মুসলিম বিদ্বেষী নানা বিষয় ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা শান্তিপ্রিয়। তারা এ নিয়ে পাল্টা কোনো জবাব দেয়নি শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা।

সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস, বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস, জিনিউজ, আনন্দবাজার পত্রিকা

Bootstrap Image Preview