গার্লফ্রেন্ডসহ ফুচকা খাওয়ানোর দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে বন্ধু।নিহতের নাম আরফিন শাকিল (২৪)।রোববার রাত ৯টায় উত্তরা পূর্ব আব্দুল্লাহপুর আইচি মেডিকেল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় শাকিলে বন্ধু সাগর সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত আরেফিন শাকিলের বন্ধু জুবায়ের বলেন, গতকাল শনিবার কোনো একটি বিষয় নিয়ে সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল ভূঁইয়া সাব্বিরের (২৫) সঙ্গে শাকিলের।পরে শাকিল ও তার গার্লফ্রেন্ডকে সাব্বির রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের দাওয়াত দিয়েছিল। যে কোনো কারণে তখন শাকিল যেতে পারেনি। পরে আবার ফোন দিয়ে আইচি মেডিকেলের সামনে ফুচকা খাওয়ার জন্য ডাকে সাব্বির।সেখানে শাকিল ও তার গার্লফ্রেন্ড ও আরেক বন্ধু সাগরসহ একই মোটরসাইকেলে নিজ এলাকা দক্ষিণখান ফায়দাবাদবাদ থেকে আইচি মেডিকেলের সামনে যায়। সেখানে যাওয়া মাত্রই সাব্বির দাঁড়িয়ে বলে তোদের দুজনকে আসতে বলছি তিনজন আসছিস কেন। আমি এত বিল দিতে পারব না।
তার প্রতিউত্তরে শাকিল বলে তুমি তো ঈদে আমাকে মার্কেট করে দিতে চাইছিলা, সেটা দিতে হবে না। আমাদের তিনজনকে খাওয়াবে। পরে গার্লফ্রেন্ডকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে শাকিল ও সাগরকে একটু এগিয়ে নিয়ে যায় সাব্বির, শামীম, শিকদার মৃদুলসহ ৪-৫ জন। পরে শাকিলকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকসহ বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সাব্বির।এক পর্যায়ে সাগর বাধা দিতে গেলে সাগরকেও ছুরিকাঘাত করে এতে সামান্য আহত হয় সাগর।
নিহতের বড় ভাই শাহাদৎ বলেন, সন্ধ্যার পরে বাসা থেকে বের হয় তার বন্ধু ভূঁইয়া সাব্বির ডেকেছে আইচি মেডিকেলের ওখানে দাওয়াতে।
পরে খবর পেয়ে উত্তরায় স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে আমার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই।সেখান থেকে মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোটভাইকে ভূঁইয়ার সাব্বির খুন করেছে।
এদিকে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পরই স্বজনরা শাকিলের লাশটি জোরপূর্বক ঢামেক থেকে নিয়ে চলে যান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সঙ্গে আসা দুই একজনকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশটি পুনরায় ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত শাকিল দক্ষিণখান ফায়দাবাদ গোয়ালটেক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তাইজুল ইসলামের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পেশায় সে নেটের কাজ করতো, বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডান্সার ছিলেন।