Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

করোনা টেস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে সমালোচনার ঝড় !

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২১, ১১:০৯ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০২১, ১১:০৯ PM

bdmorning Image Preview


আবার আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন। করোনা টেস্টের রিপোর্টে তার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৮ মে দেখানোর পর থেকে বিষয়টি আলোচনায়। ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এর আগে খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টকে নিজের জন্মদিন হিসেবে উদযাপন করে আসছিলেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে চরম সমালোচনায় পড়তে হয় বিএনপি ও এর নেতৃত্বকে। ১৫ আগষ্ট ছাড়াও বিভিন্ন দলিলে খালেদা জিয়ার আরও চারটি জন্মদিনের কথাও জানা যায়। একাধিক জন্মতারিখ ও জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদযাপনের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

সর্বশেষ শনিবার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায় জন্মদিনের স্থানে লেখা- ৮ মে ১৯৪৬ সাল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফায় ওই করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।

তবে রিপোর্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সেটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ অনেকেই খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টটি  শেয়ার করেন। জাতীয় শোক দিবসে নিজের জন্মদিন উদযাপন করায় খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান কেউ কেউ। 

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রোববার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টটি তুলে দিয়েছেন। রিপোর্টের নিচে স্ট্যাটাস আকারে লাল সাদা হরফে একটি লেখাও তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে লেখা রয়েছে, 'মৃত্যুভয়ে খালেদা জিয়া তার আসল জন্মদিনের কথা স্বীকার করলো, খালেদা জিয়ার জন্মদিন ০৮ মে ১৯৪৬।'

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে এক পোস্টে বিএনপিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, 'আমি আওয়ামী লীগ করি। বিষয়টা আমার কাছে যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতেই প্রাসঙ্গিক। এখন আপনি (খালেদা জিয়া) বলছেন, ৮ মে'তে আপনি জন্মেছেন। তাহলে আমাদের রক্তক্ষরণ করিয়ে ১৫ আগস্ট যে জন্মদিন নিজে পালন করে এসেছেন, আপনার দলের নেতাকর্মীরা যে পালন করেছে, আমাদের শোককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তার জন্য ন্যূনতম ক্ষমা, মানুষ হিসেবে আপনার এবং আপনার দলের নেতাদের চাওয়া উচিত।'

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফাহিম খান রনি তার ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, 'থলের বিড়াল বের হচ্ছে। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন আবারো প্রমাণিত। সত্য কোনদিন চাপা থাকে না।'

এর আগে 'ভুয়া' জন্মদিন উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে কয়েকটি মামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগষ্ট লেখা হয়। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট।

২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট। এছাড়া খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। সর্বশেষ করোনা টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে ১৯৪৬ খালেদা জিয়ার জন্মদিন। সব মিলিয়ে ছয়টি তারিখ থাকার কথা জানা গেল।

Bootstrap Image Preview